আইসিসি মহিলা বিশ্বকাপ ২০২৫-এর ম্যাচের আগে মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরে একটি চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে। জানা গেছে, হোটেল থেকে একটি ক্যাফেতে হেঁটে যাওয়ার সময় দুই অস্ট্রেলীয় মহিলা ক্রিকেটারের সঙ্গে এক মোটর সাইকেল আরোহী ব্যক্তি শ্লীলতাহানি করে।
তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ ও গ্রেফতার
দলটির নিরাপত্তা কর্মীরা সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় পুলিশকে বিষয়টি জানান। পুলিশ ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ধারা ৭৪ (নারীর শালীনতার অবমাননার জন্য অপরাধমূলক বলপ্রয়োগ) এবং ৭৮ (স্টকিং বা পিছু নেওয়া) এর অধীনে মামলা নথিভুক্ত করে। অভিযুক্ত ব্যক্তিকে কয়েক ঘন্টার মধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযুক্তের নাম আকিল খান বলে জানা গেছে।
ক্রিকেট সংস্থাগুলির প্রতিক্রিয়া
ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (CA) এই “অনুপযুক্ত ঘটনা” নিশ্চিত করেছে এবং জানিয়েছে যে খেলোয়াড়রা সুরক্ষিত আছেন। অন্যদিকে, বিসিসিআই (BCCI) এই ঘটনাটিকে “গভীরভাবে দুঃখজনক” বলে আখ্যা দিয়ে সফরকারী সব দলের জন্য কঠোর নিরাপত্তার আশ্বাস দিয়েছে।
কূটনৈতিক ও জনমানসের প্রতিক্রিয়া
এই ঘটনা সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে এবং বিরোধী দলগুলি আন্তর্জাতিক ক্রীড়া ইভেন্টের সময় আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। এই ঘটনার জেরে কর্তৃপক্ষ এবং বিসিসিআই খেলোয়াড়দের নিরাপত্তা ব্যবস্থার পর্যালোচনা শুরু করেছে।
বিতর্কে মন্ত্রী কৈলাস বিজয়বর্গীয়র মন্তব্য
এদিকে, এই ঘটনার পরেই মধ্যপ্রদেশের মন্ত্রী কৈলাস বিজয়বর্গীয়ের একটি মন্তব্যকে ঘিরে বড় বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। মন্ত্রী নিরাপত্তা ত্রুটি নিয়ে কথা বলার পরিবর্তে শিকারকেই দোষারোপ করেছেন। আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে প্রশাসনের চরম ব্যর্থতা সত্ত্বেও, বিজয়বর্গীয় ঘটনাটিকে “প্রশাসন এবং খেলোয়াড় উভয়ের জন্যই একটি শিক্ষা” বলে অভিহিত করেন।
মন্ত্রী বলেন যে অস্ট্রেলীয় মহিলা ক্রিকেটাররা কর্তৃপক্ষকে না জানিয়ে হোটেল ছেড়ে “ভুল করেছেন”। তাঁর এই “অসংবেদনশীল” মন্তব্যের জন্য তাঁকে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে। বিরোধী দলের নেতারা এবং নারী অধিকার কর্মীরা শ্লীলতাহানির শিকারদের ওপর দোষ চাপানোর পরিবর্তে প্রশাসনিক ব্যর্থতার দিকে নজর দেওয়ার জন্য মন্ত্রীর তীব্র নিন্দা করেছেন।