অভিনয় দক্ষতায় জাতীয় পুরস্কার এবং পরিচালনায় সাফল্যের পরও টলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ না পাওয়ায় দীর্ঘ সময় ধরেই সরব অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র। মঙ্গলবার ফের একবার সোশ্যাল মিডিয়ায় গভীর হতাশা এবং রাগ প্রকাশ করে তিনি প্রশ্ন তুললেন, “আমি ভুলতে বসেছি আমি একজন অভিনেতা বা আমাকে ভুলতে বাধ্য করা হচ্ছে…কেন?”
পুরস্কারজয়ী অভিনেত্রীর লড়াই
বাপ্পাদিত্য বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘কাঁটাতার’ (২০০৬)-এর জন্য BFJA পুরস্কার বা কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়ের ‘উড়ো চিঠি’ (২০১১)-র জন্য শ্রেষ্ঠ সহ-অভিনেত্রীর পুরস্কার— একাধিক সম্মান রয়েছে তাঁর ঝুলিতে। অথচ সেই শ্রীলেখা মিত্রর টলিউডে কাজ পাওয়ার লড়াই নতুন নয়। এই লড়াই করতে করতে এবার ক্লান্তবোধ করছেন অভিনেত্রী।
নিজের পোস্টে তিনি সমাজের তথাকথিত ‘সিস্টেম’-এর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে লেখেন, “সুন্দর, সুস্থ পরিবেশে বাঁচার চেষ্টা করাই আজকের দিনে আশাতিত। কেন? সৎভাবে উপার্জন করার ইচ্ছের কোন দাম নেই এই গোটা রাজ্যে এবং এই টলিপাড়ায়। কেন?”
চরিত্রহননের গুরুতর অভিযোগ
এরপরেই অভিনেত্রী অভিযোগ করেন যে, তাঁকে অভিনয় ভুলতে বাধ্য করা হচ্ছে এবং তাঁর চরিত্রহননের চেষ্টা করা হচ্ছে। শ্রীলেখা লেখেন, “মহিলা হওয়ার দরুন তথাকথিত তার সবচেয়ে দুর্বল জায়গা তার চরিত্র, সেটা নিয়ে তাকে malign করার প্রভুত চেষ্টা চালানো হচ্ছে। কেন? নিজের চেষ্টায় বাঁচতে চাওয়ার অপরাধে?”
প্রতিনিয়ত এই সিস্টেমের বিরুদ্ধে সরব হতে হতে আজ ক্লান্ত শ্রীলেখা। তিনি জানান, আর লড়াই করতে পারছেন না, আর সেই কারণেই তাঁর “শৈল্পিক নরম মনের ক্ষয় হচ্ছে…প্রতিনিয়ত রক্তক্ষরণ হচ্ছে আমার মাথায়, আমার মনের….এর দায় কার?”
শ্রীলেখার এই পোস্টে তাঁর অনুরাগীরা পাশে দাঁড়িয়েছেন। অনেকেই তাঁর লড়াইকে এক শিল্পীর ‘আত্মচিৎকার’ বলে উল্লেখ করে তাঁকে পরাজিত না হওয়ার জন্য সাহস জুগিয়েছেন।