জাতীয় রাজধানী, দিল্লি: জাতীয় রাজনীতিতে অন্ধ্রপ্রদেশ এবং মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নায়ডুর জন্য এক অত্যন্ত গর্বের মুহূর্ত তৈরি হলো। দিল্লিতে অনুষ্ঠিত মর্যাদাপূর্ণ “ভারত এআই শক্তি” (Bharat AI Shakti) অনুষ্ঠানে অন্ধ্রপ্রদেশ সরকার গুগল ও তার সহযোগী সংস্থা রেইডেন-এর (Raiden) সঙ্গে একটি ঐতিহাসিক চুক্তি স্বাক্ষর করল। এই চুক্তির ফলে বিশাখাপত্তনমে তৈরি হবে ভারতের প্রথম এআই হাব (AI Hub)।
চুক্তি স্বাক্ষরের চেয়েও বেশি নজর কাড়ল কেন্দ্রীয় মঞ্চে চন্দ্রবাবুর প্রতি কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ এবং তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব অন্ধ্রপ্রদেশের এই নেতাকে ‘দূরদর্শী’, ‘উদ্ভাবনী’ এবং ‘ভবিষ্যৎ চিন্তাভাবনার অধিকারী’ হিসেবে আখ্যা দিয়ে প্রশংসায় ভরিয়ে দিলেন।
নির্মলা সীতারমণের চোখে ‘দূরদর্শী’ নেতা
নির্মলা সীতারমণ চন্দ্রবাবু নায়ডুর দূরদর্শিতার ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, এটি তাঁর দীর্ঘমেয়াদী চিন্তাভাবনা এবং নেতৃত্বের এক স্পষ্ট উদাহরণ। তিনি উল্লেখ করেন, অন্ধ্রপ্রদেশের মতো শক্তিশালী উপকূলীয় ভিত্তি এবং পরিকাঠামোগত সুবিধা অন্য কোনো রাজ্যের নেই। চন্দ্রবাবু এই শক্তিগুলিকে ব্যবহার করে যেভাবে বিশ্বমানের বিনিয়োগ আকর্ষণ করার কৌশল নিয়েছেন, তা সত্যিই তাঁকে আলাদা করে তুলেছে। সীতারমণ আরও বলেন, এই চুক্তি রাজ্যের ইতিহাসে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করবে।
বৈষ্ণব বললেন, ‘অন্ধ্রপ্রদেশ চমকে দিয়েছে!’
অশ্বিনী বৈষ্ণবও একই সুর তুলে ধরেন এবং একটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, “মন্ত্রী নারা লোকেশ ছয় মাস আগে আমার সঙ্গে দেখা করে এই প্রকল্পের বিষয়ে আলোচনা করেন। অনেক রাজ্যই আমাদের কাছে প্রস্তাব নিয়ে আসে, কিন্তু অন্ধ্রপ্রদেশ অবিশ্বাস্য গতিতে এটিকে বাস্তবায়িত করে চমকে দিয়েছে। এই উদ্যোগ শুধু অন্ধ্রপ্রদেশের ভবিষ্যৎকেই নয়, বরং একটি উন্নত ভারত গড়ার স্বপ্নেও অবদান রাখবে।”
এই প্রকল্পকে বাস্তবে রূপ দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনকারী নারা লোকেশ এই অংশীদারিত্বকে রাজ্যের জন্য একটি মাইলফলক হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, এই নতুন এআই কেন্দ্রটি প্রচুর কর্মসংস্থান, সুযোগ এবং উদ্ভাবনের পথ খুলে দেবে।
একসময় বিনিয়োগ টানতে যে রাজ্যকে কঠিন লড়াই করতে হচ্ছিল, আজ সেই অন্ধ্রপ্রদেশই বিশ্বখ্যাত প্রযুক্তি সংস্থাগুলির কাছে এক পছন্দের গন্তব্য। চন্দ্রবাবু নায়ডুর নেতৃত্ব যেন আরও একবার রাজ্যটিকে ভারতের ডিজিটাল রূপান্তরের সামনের সারিতে এনে দিল। দিল্লির এই অনুষ্ঠান স্পষ্টতই অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর জাতীয় প্ল্যাটফর্মে “রাজকীয় উত্থান”-এর মঞ্চ হয়ে উঠল।