ডায়াবেটিস বা সুগারের রোগী এখন ঘরে ঘরে দেখতে পাওয়া যায়। এই রোগটি বর্তমানে একটি বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ওষুধ, শরীরচর্চা এবং খাওয়া-দাওয়া নিয়ম মেনে করলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে বটে, কিন্তু তা কোনোভাবেই পুরোপুরি নিরাময় করা সম্ভব নয়।
স্বাভাবিকের চেয়ে কম ও দেরিতে খাবার খাওয়া, শারীরিক কাজে পরিবর্তন ও অনুপযুক্ত ডায়াবেটিসের ওষুধ রক্তে শর্করা কমে যাওয়ার প্রধান কারণ। এমনকি প্রয়োজনের চেয়ে বেশি মাত্রায় ডায়াবেটিসের ওষুধ নিয়ে ফেললেও অনেক সময় সুগার লেভেল আচমকা নেমে যায়। একে চিকিৎসকরা বলেন ‘হাইপোগ্লাইসিমিয়া’ । হাইপোগ্লাইসিমিয়ায় দেখা দিতে পারে একাধিক সমস্যা। কিন্তু কী করে বুঝবেন আপনার সুগার লেভেল নেমে গিয়েছে?
যেসব লক্ষণ দেখে বুঝবেন আপনার সুগার লেভেল কমে যাচ্ছে…
* হঠাৎ করে সুগার লেভেল নেমে গেলে রোগীর খুব খিদে পাবে।
* সারা শরীরে ঘাম হবে।
* হঠাৎ করেই রোগী সব কিছু ঝাপসা দেখবে।
* হাত-পা কাঁপার মতো ঘটনা ঘটবে।
* মাথা যন্ত্রণা করবে। শরীরে ক্লান্তভাব দেখা দেবে।
হঠাৎ করে সুগার লেভেল নেমে গেলে কী করবেন
* চিনি বা গুড় সুগার লেভেল বাড়ানোর জন্য বিশেষ ভূমিকা পালন করে। তাই হালকা গরম জলেতে এক চামচ সমান চিনি বা গুড় মিশিয়ে খান।
* টমেটোতে থাকে লাইকোপিন নামক অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট যা যকৃত আর অগ্নাশয়ের মতো সমস্যাকে দূর করে। অনেক সময়ে অগ্নাশয়ে সমস্যার কারণে সুগার লেভেল নেমে যায়। সেক্ষেত্রে নিয়মিত টমেটো খেতে পারেন।
* আপেল সুগার রোগীদের জন্য খুবই উপকারী। আপেলে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম ও ক্রোমিয়াম থাকে যা রক্তে সুগারের মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণ করে।
* এছাড়াও কিছু খাবার আছে যা সুগার লেবেল কন্ট্রোল করে। সেগুলো হল- কলা, বার্লি, দুধ, ব্রকোলি, মিষ্টি আলু, চিকেন, মাশরুম, কাজুবাদাম, কাঠবাদাম, সয়াবিন, টুনা মাছ ও দই।
এসব ঘরোয়া পদ্ধতি ছাড়াও অভিজ্ঞ ডাক্তারের কাছে যাওয়া উচিৎ। নিয়ম করে জল, পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম ও হালকা ব্যয়ামের মাধ্যমে রেহাই পেতে পারেন লো সুগার থেকে।