সিজনাল অ্যাফেক্টিভ ডিসঅর্ডার কী? এই রোগ হলে যা যা করবেন দেখুন

দেশে শীত একটু একটু করে পুরোদমে জাঁকিয়ে বসেছে। শীতকালে যেমন বড়দিন, বিয়ের দাওয়াত, বর্ষবরণসহ নানা উৎসবে মুখর থাকে চারদিক, আবার অনেকেই শীতকালজুড়ে মনমরা হয়ে পড়েন, শীতকাল এলেই কেমন উদাসীন হয়ে পড়েন। কাজের গতি স্থবির হয়ে যায়। নিজেকে সকল উৎসব-উদ্দীপনা থেকে দূরে রাখতে চান। শীতকালীন এই মন খারাপকে ইংরেজিতে ‘উইন্টার ডিপ্রেশন’ অথবা ‘উইন্টার ব্লুজ’ বলা হয়। চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় যাকে বলে ‘সিজনাল অ্যাফেক্টিভ ডিসঅর্ডার (স্যাড)’।

সিজনাল অ্যাফেক্টিভ ডিসঅর্ডার কী?

শীতকালে সূর্যালোকের প্রভাব কম থাকে ফলে এই সময় মানসিক অবসাদের পরিমাণ বাড়তে থাকে। শীতকালে যেহেতু দিন ছোট এবং রাত বড়, তাই সূর্যের আলো এই সময় কমই পান মানুষ। শীতকালে সারাদিন আকাশ কুয়াশাচ্ছন্ন বা মেঘলা থাকে এবং খুব তাড়াতাড়ি সূর্য ডুবে যাওয়ার কারণে মন খারাপ চেপে ধরে বেশি করে। সিজনাল অ্যাফেক্টিভ ডিসঅর্ডার আসলে মস্তিষ্কের জৈব-রাসায়নিক উপাদানের ভারসাম্যের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত।

উপসর্গ কী?

ক্লান্তি, অতিরিক্ত ঘুম পাওয়া, বেশি করে খাওয়ার ইচ্ছা, দ্রুত ওজন বেড়ে যাওয়া, সবকিছু থেকে আগ্রহ চলে যাওয়া, চিন্তা-ভাবনার ব্যাঘাত ঘটা শীতকালীন অবসাদের অন্যতম উপসর্গ। এছাড়া মন বিষণ্ণ হয়ে থাকাও একটি অন্যতম উপসর্গ।

করণীয়

আপনার পরিবারের কোনও সদস্য, বন্ধু, প্রিয়জন অথবা আপনি নিজে যদি শীতকালীন অবসাদে ভুগছেন বলে মনে করেন সেক্ষেত্রে শুরুতেই মনোবিদের শরণাপন্ন হোন। চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করুন।

এছাড়া খুব মনখারাপ হলে কারও সঙ্গে প্রাণ খুলে কথা বলুন। দিনের মধ্যভাগে এক ঘণ্টা বাইরে হাঁটাহাঁটি করুন, সূর্যের আলো গায়ে লাগান। এতে হয়ত মন ভালো হবে।

Related Posts

© 2025 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy