মাইক্রোওয়েভ ওভেনে প্লাস্টিকের পাত্র ব্যবহার করবেন না যেকারণে ,জেনেনিন বিস্তারিত ভাবে

প্লাস্টিকজাত পণ্য আমাদের প্রতিদিনের জীবনের অনেক বড় একটি অংশ দখল করে আছে। বিশেষ করে খাবার সংরক্ষণ ও খাওয়ার জন্য প্লাস্টিকের তৈরি থালাবাসনই ব্যবহার করা হয় সবচেয়ে বেশি। সময় ও চাহিদার হাত ধরে প্লাস্টিকের তৈরি থালাবাসনের বিভিন্ন ব্র্যান্ড এবং কোয়ালিটিও এসেছে বাজারে। কারণ জীবনযাত্রাকে সহজ করতে প্লাস্টিকের তৈরি পণ্য অনবদ্য।

প্লাস্টিকের পণ্যের পাশাপাশি বলতে হবে মাইক্রোওয়েভ ওভেনের কথাও। হালকা ঘরানার রান্নাসহ চটজলদি খাবার গরম করার জন্য মাইক্রোওয়েভ ওভেন খুবই জরুরি। বিধায় বর্তমান সময়ে বহু বাসাতেই মিলবে প্রয়োজনীয় এই ইলেকট্রনিক পণ্যটির দেখা।

যেহেতু প্লাস্টিকের পণ্যের ব্যবহার হয় সবচেয়ে বেশি, অনেকেই প্লাস্টিকের বাসনে মাইক্রোওয়েভ ওভেনে খাবার গরম করেন। কিন্তু এই অভ্যাসটি আদৌও সঠিক কিনা এবং এই কাজটি থেকে কোন ধরণের শারীরিক ক্ষতির সম্ভাবনা আছে কিনা সেটাও জানা প্রয়োজন।

গবেষণার তথ্যানুসারে বিভিন্ন ধরণের প্লাস্টিকের পণ্য ও প্লাস্টিক কন্টেইনারে পাওয়া গিয়েছে BPA (Bisphenol A), যা এক ধরণের ইন্ডাস্ট্রিয়াল কেমিক্যাল। এছাড়া প্লাস্টিকের ফ্লেক্সিবিলিটি বাড়াতে ও এতে বিভিন্ন রঙ আনতে ব্যবহৃত উপাদানেও পাওয়া গিয়েছে BPA এবং অন্যান্য কেমিক্যালজাত দ্রব্যের উপস্থিতি।

প্লাস্টিকের বাসনে মাইক্রোওয়েভ ওভেনে খাবার গরম করা হলে ক্ষতিকর এই উপাদানগুলো গরম তাপমাত্রায় উদ্বায়ী হয়ে খাবারের সঙ্গে কিছু পরিমাণে মিশে যায়। বলা হয়ে থাকে BPA ক্যানসার তৈরির জন্য দায়ী এবং কিছু ক্ষেত্রে অন্যান্য শারীরিক সমস্যা কারণ হিসেবে দেখা দেয়।

এমনকি ওভেন প্রুফ প্লাস্টিকের পণ্যকে যতই নিরাপদ বলা হোক না কেন, আদতে এই পণ্যগুলো থেকেও BPA নির্গত হয়। ওভেন প্রুফ বলার কারণ হল উচ্চ তাপমাত্রাতেও এই প্লাস্টিকগুলো গলে যাওয়ার কিংবা ফেটে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে না।

তাই মাইক্রোওয়েভ ওভেনে যদি কোন খাবার প্রস্তুত কিংবা গরম করতেই হয়, বেছে নিতে হবে ওভেন প্রুভ কাঁচের কিংবা সিরামিকের পাত্র। এতে করে নিরাপদ থাকা সম্ভব হবে ক্ষতিকর কেমিক্যাল থেকে।

Related Posts

© 2025 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy