সখ করে অনেকেই বাড়িতে কুকুর, বিড়াল, পাখি, খরগোশ ইত্যাদি পুষে থাকেন। তাদের সঙ্গে সময় কাটাতে পছন্দ করেন। অন্যদিকে ঘরের সৌন্দর্য বাড়াতে গাছও লাগিয়ে থাকেন। বসার ঘর, শোবার ঘর, বারান্দায় শোভা পায় বাহারি গাছ। সাজানোর জন্য হলেও বেশিরভাগ গাছই ঘরে রাখা ভালো। বাতাস পরিশুদ্ধ করতে, নানা রকম পোকামাকড় দূরে রাখতে এবং মানসিক চাপ কমাতে বেশির ভাগ গাছ সাহায্য করে।
তবে অনেকেই হয়তো জানেন না, বাড়ির পোষ্যদের জন্য কিছু গাছ বেশ ক্ষতিকর। কিছু গাছ যদি আপনার অজান্তেই পোষ্যের শরীরে চলে যায়, তাহলে তার প্রভাব মারাত্মক হতে পারে। তাই বাড়িতে গাছ আনার আগে জেনে নিন, কোন কোন গাছ রাখলে বাড়তি সতর্কতার প্রয়োজন।
আইভি
পয়জন আইভি গাছের কথা সবাই জানেন। কিন্তু সাধারণ আইভিও কুকুরদের গায়ে র্যাশ তৈরি করতে পারে। এমনকি, তাদের শ্বাস-প্রশ্বাসে অসুবিধা সৃষ্টিও হতে পারে।
জেড
জেড গাছ দেখতে খুবই সুন্দর। ঘরে অনেকেই সাজিয়ে রাখেন। কিন্তু কুকুরদের পেটে গেলে তাদের বমি শুরু হয়ে যায়। পাশাপাশি কুকুরদের মধ্যে অবসাদও ডেকে আনতে পারে এই গাছ।
অ্যালোভেরা
অ্যালোভেরা গাছ ত্বক এবং পেটের জন্য দারুণ উপকারী। কিন্তু সেটা শুধু মানুষের ক্ষেত্রেই। বিড়াল-কুকুরদের জন্য এই গাছ অত্যন্ত ক্ষতিকর হয়ে যেতে পারে। অ্যালোভেরার জেল কুকুরের পেটে গেলে তেমন ভয়ের কারণ নেই। কিন্তু গাছের বাকি অংশ কুকুরদের জন্য ভালো নয়।
পিস লিলি
লিলি অনেক জাতের হয়। সব রকম লিলি কুকুর-বিড়ালদের জন্য ক্ষতিকর না হলেও কিছু পিস লিলি কুকুরদের জন্য বেশ ক্ষতিকর। তেমনই ইস্টার লিলি বিড়ালদের পক্ষে বেশ ক্ষতিকর। সময়ে চিকিৎসা না করলে বিড়ালের কিডনি এবং লিভার নষ্ট করে দিতে পারে এই জাতের ফুলের গাছ।
মানি প্ল্যান্ট
ঘরে মানি প্ল্যান্ট রাখার চল রয়েছে অনেক বাড়িতেই। যেহেতু এই গাছের পরিচর্যা তেমন কঠিন নয়, তাই বেশির ভাগ মানুষ ঘরের নানা কোণে এই লতানো গাছ লাগিয়ে থাকেন। কিন্তু কুকুর-বিড়ালদের জন্য এই গাছ যথেষ্ট ক্ষতিকর। মুখে সমস্যা হয়, ঢোক গিলতে অসুবিধা হয় এবং বমি হওয়ার প্রবণতা তৈরি হয়
