ত্বক ভালো রাখতে চিনির বিশেষ কিছু ব্যবহার, জানলে চমকে যাবেন

চিনি স্বাদে যতই মিষ্টি হোক, স্বাস্থ্য সচেতন মানুষেরা এটি এড়িয়ে চলার চেষ্টা করেন। ডায়াবেটিস কিংবা স্থুলতার ভয়ে চিনি থেকে দূরে থাকেন অনেকেই। এটি ঠিক যে সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে চিনির দরকার নেই। কিন্তু এই চিনি আমাদের ত্বকের জন্য ভীষণ উপকারী। রূপচর্চার ক্ষেত্রে চিনি বেশ সহায়ক।

ত্বকের কালো দাগ-ছোপ নিয়ে চিন্তিত থাকেন অনেকেই। সেসব দাগ দূর করার জন্য নানারকম প্রচেষ্টা থাকে আমাদের। এক্ষেত্রে আপনাকে সাহায্য করতে পারে চিনি। চিনি হচ্ছে প্রাকৃতিক হিউমেকট্যান্ট। এটি ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে। দ্বিতীয়ত চিনি হচ্ছে গ্লাইকোলিক অ্যাসিড এবং আলফা হাইড্রক্সি অ্যাসিডের প্রাকৃতিক উত্স। এটি ত্বকের কোষকে ভেঙে যাওয়া থেকে আটকায়। এর ফলে ত্বকে সহজে বয়সের ছাপ পড়ে না।

ত্বকের স্ক্রাবার হিসেবে দারুন কাজ করে চিনি। ত্বকের মৃত কোষ তুলে ত্বককে ঝকঝকে ও মোলায়েম করে তোলে চিনি। অলিভ অয়েল ও কয়েক ফোঁটা নারকেল তেলের সঙ্গে এক চামচ চিনি মিশিয়ে স্ক্রাব করুন অর্থাৎ মুখে ও সারা শরীরে আলতো হাতে ঘষুন। যতক্ষণ না চিনি গলে যায়, তত ক্ষণই স্ক্রাবিং করুন। এর পর ঠান্ডা জলে ধুয়ে নিন মুখ। মৃত কোষ উঠে ঝলমলে হবে ত্বক। ত্বকের উজ্জ্বলতা ধরে রাখতে চিনি বেশ উপকারী। কয়েক ফোঁটা অলিভ অয়েল ও এক চামচ লেবুর রসের সঙ্গে চিনি মিশিয়ে লাগিয়ে রাখুন মুখে। মিনিট ১৫ পর ধুয়ে নিন মুখ। ধোয়ার সময় স্ক্রাব করেও নিতে পারেন। সপ্তাহে দু’-বার এটা লাগাতে পারেন। আপনার ত্বকে যদি মধু সহ্য হয়, তাহলে এর সঙ্গে সামান্য একটু মধুও মিশিয়ে নিতে পারেন।

চিনির ব্যবহারেই আটকাতে পারেন ঠোঁট ফাটার সমস্যা। বিটের রস ও চিনি মিশিয়ে লাগিয়ে নিন ঠোঁটে। নরম ও লালচে হওয়ার পাশাপাশি ঠোঁট শুষ্ক হবে না এবং ফাটবেও না ।

হঠাৎ করে অনেকটা ওজন কমলে বা বাড়লে ত্বকে স্ট্রেচ মার্ক পড়ে। মা হওয়ার পরে পেটে এবং থাইয়ে এমন ফাটা ফাটা দাগ দেখা যেতে পারে। তেমন সমস্যা হলে কফি, চিনি, আমন্ড তেল ও মধু মিশিয়ে নিয়মিত মালিশ করুন। ধীরে ধীরে হালকা হবে স্ট্রেচ মার্ক।

Related Posts

© 2025 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy