স্বপ্নের বিষয়টি সম্পূর্ণই কাল্পনিক। একেকজনের স্বপ্নের জগতও ভিন্ন। স্বপ্ন বিষয়ক বিভিন্ন ধরনের ব্যাখা ও যুক্তি আছে অনেকের কাছেই! কারও মতে স্বপ্ন সত্যি হতে পারে আবার কেউ বলেন স্বপ্ন শুধুই কাল্পনিক।
তবে বিজ্ঞান বলছে, স্বপ্ন সম্পর্কিত এমন অনেক তথ্য আছে যা হয়তো আপনি কখনো কল্পনা করতে পারেন না। স্বপ্ন নির্ভর করে কেবল অতীত জীবন, পূর্ব অভিজ্ঞতা ও উদ্বেগের উপর।
আপনি কি জানেন, দৈনিক যে খাবার খাচ্ছেন সেটিও আপনার স্বপ্নের ধরনকে প্রভাবিত করতে পারে? স্বপ্ন সম্পর্কিত এমনই আরো মজার কিছু জেনে নিন। যা হয়তো আপনি জানেন না!
>> ঘুমের প্রথম ৩-৪ ঘণ্টার মধ্যে যে স্বপ্নগুলো দেখা হয়, তা আসলে জাগতিক স্বপ্ন। তা হয়তো অনেকেই মনে রাখতে পারেন না। ওই স্বপ্নই ঘুমের দ্বিতীয়ার্ধে আবার প্রদর্শিত হয়, যা পরবর্তীতে আপনি মনে করতে পারেন।
>> খাবারের সঙ্গেও স্বপ্নের সম্পর্ক আছে নাকি? মশলাদার বা ঝালজাতীয় খাবার খেলে দুঃস্বপ্নের কারণে মাঝরাতে জেগে ওঠার সম্ভাবনা বেশি। আর এ ধরনের স্বপ্ন মনে থাকে অনেকদিন।
>> অনেক থেরাপিস্টের মতে, দুঃস্বপ্ন দেখাকালীন অনেকেই ভয়ঙ্কর অংশটুকু পরিবর্তন করতে পারেন আবার অনেকেই ইচ্ছে করে ভয় পাওয়ার চেষ্টা করেন। যারা পোস্ট-ট্রমাটিক স্ট্রেস ডিসঅর্ডারের মতো সমস্যায় ভুগছেন, তারা সহজেই দুঃস্বপ্ন দেখার জন্য নিজেদেরকে প্রশিক্ষণ দিতে পারেন।
>> স্বপ্নে আপনি যে মুখগুলো দেখেন তার সবাই কিন্তু আপনার পরিচিত। আমাদের মস্তিষ্ক স্বপ্নে অচেনা মুখ উদ্ভাবন করতে পারে না। তাই আপনি স্বপ্নে যে মুখগুলো দেখেন, তারা সবাই আসল মানুষ।
পরিচিত বা অপিরিচিত হলেও জীবদ্দশায় যাদের সঙ্গে আপনার সাক্ষাত হয়েছে বা আপনার পরিচিত, তাদেরকেই কিন্তু আপনি স্বপ্নে দেখবেন।
>> এক রাতে ৪-৭টি স্বপ্ন দেখতে পারেন আপনি। কারও পক্ষেই সবগুলো স্বপ্ন মনে রাখা সম্ভব নয়। কারণ এটি ঘুমের চক্র ও অ্যালার্মে জেগে ওঠার উপর নির্ভর করে। সবাই সাধারণত শেষ স্বপ্ন মনে রাখেন।
>> নারী-পুরুষ আলাদাভাবে স্বপ্ন দেখেন। নারী ও পুরুষ শুধু শারীরিক ও মানসিকভাবে আলাদা নয়, তাদের স্বপ্নের জগতও ভিন্ন। মজার বিষয় হলো, পুরুষরা পুরুষদের নিয়েই বেশি স্বপ্ন দেখেন।
যেখানে নারীদের স্বপ্নে সমতা থাকে! এ ছাড়াও নারীদেরর তুলনায় পুরুষদের দ্বন্দ্বমূলক আবেগের সঙ্গে আরও আক্রমণাত্মক স্বপ্ন দেখারও প্রবণতা আছে।