কোনো রক্তের বন্ধন নেই, তারপরও কাটাতে হয় একসঙ্গে যুগের পর যুগ। কীভাবে এই সম্পর্ক ঠিক রাখা যায়? দু’জন মানুষের মধ্যে মতপার্থক্য থাকবে কিন্তু একসঙ্গে থাকতে হলে, মতপার্থক্য দূর করে আনতে হবে। এতে দু’জনকেই ছাড় দিতে হবে। না হলে সংঘর্ষ চলতে থাকবে এক বিন্দু শান্তিও থাকবে না দাম্পত্য জীবনে।
বিয়ে হচ্ছে একজন নর ও নারীর মধ্যে স্বর্গের সম্পর্কের বন্ধন। তবে এখানে যখন বিষাদের ছাড়া নেমে আসে তখন আসে দাম্পত্য কলহ। তবে সংসারে সন্তান থাকে তাহলে সন্তানের মঙ্গলের কথা দুজনের ভাবা উচিত।
কর্মজীবী দম্পতিরা বাড়ি ফিরে অনেকে পরিবারকে সময় দেন না। কারণটা হচ্ছে মোবাইল ফোন! মোবাইল ফোন ব্যবহার অনেকটা নেশায় পরিণত হয়েছে। এ নিয়ে দাম্পত্য কলহ শুরু হয়।
ফোনের আসক্তির কারণে দাম্পত্য কলহ বেড়েছে বলে দাবি ইন্টারন্যাশনাল ইন্টারনেট-বেজড মার্কেট রিসার্চ ও ডাটা অ্যানালাইসিস ফার্ম ‘ইউগভ’ এর।
দাম্পত্য কলহের কারণ অনুসন্ধান করতে গিয়ে দেখা গেছে, এক তৃতীয়াংশই সঙ্গীর অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহারের কারণে নিজেকে অবহেলিত ভাবছে ও সন্দেহবাতিকগ্রস্ত হচ্ছে।
স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক ভালো রাখার জন্য একান্ত সময় কাটানো প্রয়োজন। মোবাইলের কারণে তা হচ্ছে না। মোবাইলের অতিরিক্ত ব্যবহারে হুমকির মুখে পড়েছে দাম্পত্য সম্পর্ক।
ইউগভ এর গবেষণা বলছে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারের পাশাপাশি ওয়েবসিরিজের প্রতি আসক্তি বাড়ছে অনেকের। এছাড়া গেম খেলার দিকেই বেশি মনোযোগ দেওয়াই কাল হচ্ছে সম্পর্কের জন্য।
কী করবেন?
তাই দিন শেষে বাড়ি ফিরে সঙ্গীকে সময় দিন, প্রয়োজনীয় কথা বলুন, একসঙ্গে ঘরের কাজ করুন, রাতের খাবার খান, ঘরে ফিরে মোবাইলে ফোন দূরে রাখুন, গেমের প্রতি আসক্তি কমান ও ঘুমানোর সময় বিছানায় মোবাইল ফোন নিয়ে যাবেন না।