মাত্র কয়েকদিন আগেই দার্জিলিংয়ের ধস ও জলপাইগুড়ির ভয়াবহ বন্যায় ৩০টিরও বেশি প্রাণহানি এবং কয়েকশো কোটি টাকার ক্ষতির রেশ এখনও টাটকা। এর মধ্যেই উত্তরবঙ্গ ফের এক জোড়া প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের আশঙ্কায় কাঁপছে। এক দিকে, ঘূর্ণিঝড় ‘মন্থা’ অতি ভারী নিম্নচাপে পরিণত হয়ে উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হচ্ছে, যার প্রভাবে আগামী ৩১ অক্টোবর উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলায় ভারী বৃষ্টির কমলা সতর্কতা জারি হয়েছে। অন্যদিকে, প্রতিবেশী ভুটানেও ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস থাকায় জেলা প্রশাসনগুলির কপালে চিন্তার ভাঁজ।
অন্ধ্র উপকূলে আছড়ে পড়ার পর ‘মন্থা’ দুর্বল হলেও এর প্রভাবে ৩১ অক্টোবর দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার এবং আলিপুরদুয়ার জেলায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
ভয় বাড়াচ্ছে ভুটানের পূর্বাভাস: সবচেয়ে বড় উদ্বেগের কারণ হল ভুটান। ৫ অক্টোবরের বন্যায় ভুটান থেকে নেমে আসা গাঠিয়া ও জলঢাকা নদীর জলেই জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ারের বিস্তীর্ণ এলাকা ভাসিয়ে দিয়েছিল। ভুটানের ন্যাশনাল সেন্টার ফর হাইড্রোলজি অ্যান্ড মিটিওরোলজি মন্ত্রক জানিয়েছে, আগামী ৩১ অক্টোবর ও ১ নভেম্বর সেখানে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। ভুটান পাহাড়ে বৃষ্টি হলে সেখানকার নদীগুলির জলস্তর দ্রুত বাড়বে, যা উত্তরবঙ্গের নিম্ন এলাকার জন্য অত্যন্ত বিপজ্জনক।
আবহাওয়া দপ্তর মালদা, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর, জলপাইগুড়ি, দার্জিলিং এবং কালিম্পং জেলায় আগামী ৩০ অক্টোবর বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি এবং ৩০-৪০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছে।
প্রশাসনের প্রস্তুতি: এই জোড়া সতর্কতার জেরে জেলা প্রশাসন ইতিমধ্যেই তৎপর হয়েছে। নিচু এলাকায় জল জমা, দার্জিলিং ও কালিম্পংয়ে নতুন করে ধস নামা এবং বজ্রপাতের বিষয়ে সাধারণ মানুষকে সতর্ক করা হয়েছে। সিভিল ডিফেন্স, এনডিআরএফ এবং এসডিআরএফ-কে সব রকম দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।