রাজ্যের পুরসভা নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এবার দুই ভিন্ন ঘটনায় বড়সড় পদক্ষেপ নিল এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেট (ইডি)। একদিকে শাসকদলের এক বিধায়কের অফিসে নির্মাণ সংস্থার ভুয়ো বিল পাওয়ার পর শুরু হয়েছে তদন্ত, অন্যদিকে মন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ এক ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে বিপুল পরিমাণ নগদ টাকা ও সোনা।
বিধায়কের অফিসে ‘ভুয়ো’ বিলের সূত্র: পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এর আগে বিধায়ক সুজিত বসুর সল্টলেকের অফিস থেকে ভেঙ্কটেশ কনস্ট্রাকশন নামে একটি সংস্থার প্রচুর বিল উদ্ধার করেছিল ইডি। সেই বিলের সূত্র ধরে মঙ্গলবার ইডি ওই নির্মাণ সংস্থার ঠিকানায় তল্লাশি চালায়। বিলে উল্লেখিত ঠিকানায় দরজা ভেঙে তদন্তকারীরা ঢুকে দেখতে পান, অফিসটি সম্পূর্ণ ফাঁকা! সেখানে একটি চেয়ার পর্যন্ত নেই।
এই ঘটনা থেকেই ইডি-র তীব্র সন্দেহ, ভুয়ো সংস্থার নামে ভুয়ো বিল তৈরি করা হয়েছিল। প্রশ্ন উঠছে, অস্তিত্বহীন এরকম সংস্থার বিল কেন বিধায়কের অফিসে? ভুয়ো বিলের মাধ্যমে কালো টাকা সাদা করা হয়েছে কিনা, সেই দিকটি খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।
মন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীর বাড়িতে কোটি কোটি টাকা: এদিকে, বুধবার পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তারাতলার ব্যবসায়ী গৌতম ধন্ধানিয়ার বাড়িতে হানা দেয় ইডি। সূত্রের খবর, রেডিয়েন্ট এন্টারপ্রাইজ প্রাইভেট লিমিটেড নামে ওই সংস্থার অফিস থেকে প্রায় ১ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা নগদ উদ্ধার হয়েছে।
পাশাপাশি, গৌতম ধন্ধানিয়ার লেকটাউনের ফ্ল্যাটেও তল্লাশি চালায় ইডি। সেখান থেকে তদন্তকারীরা ১০ কেজিরও বেশি সোনা উদ্ধার করেন। জানা যাচ্ছে, এই ব্যবসায়ী পরিবার রাজ্যের এক প্রভাবশালী মন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ। কোন মন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ ছিল, তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে তীব্র চাপানউতোর শুরু হয়েছে।