নির্বাচন কমিশনের স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশন (SIR) নিয়ে একদিকে যখন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও দলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তীব্র আক্রমণ শানিয়েছেন, ঠিক তখনই দলের অন্দরে শোনা গেল ‘বেসুরো’ সুর। তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের কড়া অবস্থানের উল্টো পথে হেঁটে ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর SIR চালু হওয়ার পক্ষে সওয়াল করলেন। তাঁর মন্তব্য দলের অস্বস্তি বহুগুণ বাড়াল।
এসআইআর (SIR) শুরু হওয়ার দিনেই মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমারকে নিশানা করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, “আজ নয় কাল, সরকার কিন্তু বদলাবে জ্ঞানেশবাবু। দেশ ছেড়ে পালাবেন না।… যেখানে যাবেন খুঁড়ে নিয়ে আসব। জবাবদিহি মানুষের কাছে দিতে হবে।” মুখ্যমন্ত্রীর গলায়ও আগে একইরকম হুঁশিয়ারি শোনা গিয়েছিল।
কিন্তু এর ঠিক বিপরীতে গিয়ে তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর সরাসরি বলেন, “আমাদের আপত্তির কী আছে? করুক এসআইআর। ভালোভাবে হোক। প্রকৃত ভোটার যেন বাদ না যায়।” তিনি আরও বলেন, “ভয় পাওয়ার কিছু নেই। সতর্ক করারও কিছু নেই।…কাজেই অত আতঙ্কের কিছু নেই। সমস্যার কিছু নেই।… ১২টা রাজ্যে হচ্ছে। আমাদের আপত্তির কী আছে? করুক এসআইআর। ভালোভাবে হোক। প্রকৃত ভোটার যেন বাদ না যায়।” তবে বৈধ ভোটার বাদ পড়লে সংশ্লিষ্ট অফিসারকে ঘেরাও করার হুঁশিয়ারিও তিনি দেন।
এর আগে একই সুরে মন্তব্য করতে শোনা গিয়েছিল তৃণমূলের প্রবীণ সাংসদ সৌগত রায় এবং প্রয়াত নেতা অনুব্রত মণ্ডলকেও। সৌগত রায় বলেছিলেন, ভোটার তালিকা সংশোধন হলে আপত্তি থাকার কিছু নেই। অনুব্রত মণ্ডলও বলেছিলেন, এসআইআর চালু হলে ভালোই হবে, কোনো অসুবিধা নেই। শীর্ষ নেতৃত্বের আক্রমণাত্মক অবস্থানের মধ্যে একাধিক নেতার এমন ভিন্নমত প্রকাশ নিঃসন্দেহে তৃণমূলের অন্দরের বিভেদকে ফের একবার প্রকাশ্যে আনল।