“আমার শিরা ধমনী সব তৃণমূল”, পতাকা হাতে নিয়েই গর্জন শোভন চট্টোপাধ্যায়ের! ‘অভিমানে’ দূরে থাকা নেতার ফের উত্থান

দীর্ঘ রাজনৈতিক দূরত্ব মিটিয়ে অবশেষে নিজের ‘ঘরে’ ফিরলেন কলকাতার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়। নিউটাউন কলকাতা ডেভলপমেন্ট অথরিটির (NKDA) চেয়ারম্যান পদে আসীন হওয়ার পর থেকেই তাঁর তৃণমূলে প্রত্যাবর্তন ছিল স্রেফ সময়ের অপেক্ষা। সোমবার আনুষ্ঠানিকভাবে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করলেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন তাঁর দীর্ঘদিনের সঙ্গী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়।

🤝 তৃণমূল ভবনে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগদান
সোমবার তৃণমূল ভবনে আয়োজিত যোগদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের শীর্ষ নেতা সুব্রত বক্সী এবং রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। শোভন চট্টোপাধ্যায় এই দুই নেতার হাত থেকে তৃণমূলের পতাকা তুলে নেন।

অনুষ্ঠানে মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস বলেন,

“ঘরের ছেলে ঘরে ফিরল। ফিরে আসার আবেদন করেছিলেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে দল শোভন চট্টোপাধ্যায়কে স্বাগত জানাল।”

অরূপ বিশ্বাস আরও জানান, যোগদান পর্ব শেষ করেই শোভন চট্টোপাধ্যায় দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করতে যাবেন। সেই মতোই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন শোভন ও বৈশাখী।

🎤 ‘শিরা, ধমনী সব তৃণমূল’: দায়িত্ব পালনের অঙ্গীকার
তৃণমূলের পতাকা হাতে নিয়েই শোভন চট্টোপাধ্যায় তাঁর পুরনো আবেগ ফিরিয়ে আনেন। তিনি বলেন,

“আমার শিরা, ধমনী সব কিছু তৃণমূল কংগ্রেস। আবার সামিল হলাম। রাস্তায় নেমে লড়াইয়ে নামলাম। আমাকে যা দায়িত্ব দেওয়া হবে, সেটা পালন করব।”

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, NKDA চেয়ারম্যানের গুরুত্বপূর্ণ পদ পাওয়ার পর দলীয় স্তরেও শোভন চট্টোপাধ্যায়ের গুরুত্ব আরও বাড়তে চলেছে। তাঁর এই অঙ্গীকারের পরই তৃণমূলের অন্দরে ফের জল্পনা শুরু হয়েছে, NKDA-এর পর এবার কি দলেও কোনো বড় দায়িত্ব পেতে চলেছেন তিনি? রাজ্যের শাসক দল এখন সেই দিকেই তাকিয়ে আছে।

💡 প্রত্যাবর্তনের পথ: অভিষেক-মমতার সঙ্গে ‘বৈঠক’
দীর্ঘদিন রাজনীতি থেকে দূরে থাকার পর শোভন চট্টোপাধ্যায়ের সক্রিয় রাজনীতিতে ফেরার জল্পনা শুরু হয়েছিল প্রথমে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং পরবর্তীতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর ‘বৈঠকের’ পর। এই বৈঠকের পরই তাঁকে NKDA-এর চেয়ারম্যান পদে বসানো হয়। অবশেষে সোমবারের আনুষ্ঠানিক যোগদানের মাধ্যমে সমস্ত জল্পনার অবসান ঘটল। শোভন চট্টোপাধ্যায়ের এই প্রত্যাবর্তন ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যের রাজনীতিতে নতুন সমীকরণ তৈরি করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

Related Posts

© 2025 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy