খাওয়া-দাওয়ার ব্যাপারে দুই বাংলার মানুষের রুচি প্রায় একই রকম। আর সেই মিলমিশে অন্যতম সংযোজন হলো বাংলাদেশের বিভিন্ন ধরনের ভর্তা। গরম ভাতের সাথে যেকোনো সবজি, মাছ, মাংস কিংবা ডিমের ভর্তা যেন অমৃতসমান। এর স্বাদ এতটাই মনোগ্রাহী যে, পাতে অন্য কিছু না থাকলেও অনায়াসে খাওয়া চলে যায়। বিশেষ করে গরম ভাতের সাথে সামান্য ঘি আর সুস্বাদু ভর্তা – এ যেন এক স্বর্গীয় অনুভূতি! আজকাল তো অনেক বাঙালি রেস্তোরাঁতেও বিভিন্ন ধরনের ভর্তার পদ বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। তেমনই একটি অসাধারণ ভর্তা হলো রসুনের ভর্তা। আর সবচেয়ে মজার ব্যাপার হলো, এই মুখরোচক ভর্তাটি তৈরি করতে সময় লাগে মাত্র ১০ মিনিট!
উপকরণ:
রসুনের কোয়া: পরিমাণ মতো
পেঁয়াজ: সরু করে কাটা
সর্ষের তেল: পরিমাণ মতো
শুকনো লঙ্কা: ২-৩টি (স্বাদ অনুযায়ী)
নুন: স্বাদ অনুযায়ী
ধনেপাতা কুচি: সামান্য
পাতিলেবুর রস: সামান্য
প্রস্তুত প্রণালী:
১. প্রথমে একটি কড়াইতে তেল গরম করুন। তেল গরম হয়ে এলে শুকনো লঙ্কা ভেজে তুলে নিন।
২. এবার ওই একই তেলে রসুনের কোয়াগুলো দিয়ে ভাজতে শুরু করুন। রসুন লালচে হয়ে এলে সেগুলো তেল থেকে তুলে একটি পাত্রে রাখুন।
৩. এরপর ওই তেলেই সরু করে কাটা পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ভাজুন। পেঁয়াজ হালকা বাদামি রং ধরলে সেটিও তুলে নিন।
৪. একটি পাত্রে ভাজা রসুনের কোয়াগুলো হাতে করে ভালো করে চটকে মেখে নিন।
৫. অন্য একটি পাত্রে ভাজা পেঁয়াজ এবং ভাজা শুকনো লঙ্কা সামান্য নুন দিয়ে একসাথে চটকে মিশিয়ে নিন।
৬. এবার চটকানো রসুন এবং পেঁয়াজ-লঙ্কার মিশ্রণটিকে একসাথে ভালো করে মিশিয়ে নিন।
৭. এর মধ্যে কুচি করে রাখা ধনেপাতা এবং সামান্য পাতিলেবুর রস যোগ করুন।
৮. নুন চেখে দেখে নিন, প্রয়োজন মনে হলে আরও একটু যোগ করতে পারেন।
৯. সব উপকরণ ভালোভাবে মেশানো হয়ে গেলে, ভর্তা ছোট ছোট গোল আকারে ভাগ করে নিন (ঐচ্ছিক)।
১০. সবশেষে, গরম সাদা ভাতের উপর সামান্য ঘি ছড়িয়ে পাশে সুস্বাদু রসুনের ভর্তা পরিবেশন করুন।
এই রসুনের ভর্তা যেমন সহজেই তৈরি করা যায়, তেমনই এর স্বাদও অতুলনীয়। গরম ভাতের সাথে এই ভর্তা চেখে দেখলে আপনি নিশ্চিতভাবেই মুগ্ধ হবেন! তাই আর দেরি না করে, আজই বাড়িতে বানিয়ে ফেলুন এই মুখরোচক রসুনের ভর্তা।