সুন্দর হাসি আর আত্মবিশ্বাসের চাবিকাঠি হলো ঝকঝকে সাদা দাঁত। তবে অনেকেরই দাঁতে হলদে বা কালচে দাগের কারণে অস্বস্তিতে ভুগতে হয়। এই সমস্যার মূলে রয়েছে কিছু বদঅভ্যাস। নিয়মিত দু’বেলা ব্রাশ করার পরেও অনেক সময় এই দাগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায় না। তবে কিছু সহজ নিয়ম ও পদ্ধতি মেনে চললে দ্রুত এই সমস্যা দূর করা সম্ভব।
দাঁতকে সুস্থ ও ঝকঝকে রাখতে রইলো কিছু কার্যকরী টিপস:
ধূমপান ও পান-মশলা পরিহার করুন: নিয়মিত সিগারেট, বিড়ি বা পান-মশলার মতো অভ্যাস থাকলে মাড়ির রোগ, দাঁত হলুদ হয়ে যাওয়া সহ একাধিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। দাঁতকে সুস্থ রাখতে হলে এই অভ্যাসগুলো ত্যাগ করা জরুরি।
লেবুর খোসা ব্যবহার করুন: লেবু খাওয়ার পর খোসা ফেলে না দিয়ে দাঁতে ভালো করে ঘষুন। এর অ্যাসিডিক উপাদান দাঁতের অনেক ময়লা পরিষ্কার করে এবং দাঁতকে চকচকে করে তোলে।
কলার খোসা কাজে লাগান: কলার ভেতরের সাদা অংশটি নিয়মিত দাঁতে ঘষলে দাঁতের হলদেটে ভাব দ্রুত কমে যায়। এটি একটি প্রাকৃতিক ও সহজ উপায়।
আয়রনযুক্ত জলের দাগ দূর করুন: জলের আয়রনের কারণে দাঁতে লালচে বা হলদে দাগ পড়তে পারে। এই দাগ দূর করতে বারবার ব্রাশ করার পাশাপাশি লেবুর খোসা ঘষলে উপকার পাওয়া যায়।
বেকিং সোডা ব্যবহার করুন: সপ্তাহে তিন দিন খাবার সোডা দিয়ে দাঁত ঘষলে দাঁত ঝকঝক করে। তবে অতিরিক্ত ব্যবহার করা উচিত নয়।
স্কেলিং নিয়ে সতর্কতা: স্কেলিং দাঁতের হলুদ ভাব দূর করতে সাহায্য করে ঠিকই, তবে বারবার স্কেলিং করা দাঁতের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী স্কেলিং করানো উচিত।
ব্ল্যাক টি পান করুন: দুধ ও চিনি মেশানো চা মুখের ভেতরের ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধি করতে পারে। তবে ব্ল্যাক টি বা চিনি ছাড়া চা মুখের ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করতে এবং মাড়ির রোগ সারাতে সাহায্য করে। প্রতিদিন এক কাপ ব্ল্যাক টি দাঁতের জন্য উপকারী হতে পারে।
বোতলজাত পানীয় এড়িয়ে চলুন: বোতলজাত প্রায় সব পানীয়তেই কার্বনেট থাকে। এই জাতীয় পানীয় পান করা কমিয়ে দিন বা সম্পূর্ণ বাদ দিন। এগুলি দাঁতের এনামেল নষ্ট করে দাঁত ক্ষয় করে এবং দাগ সৃষ্টি করে।
এই সহজ উপায়গুলো মেনে চললে আপনিও পেতে পারেন ঝকঝকে ও সুন্দর দাঁত। তবে দাঁতের কোনো গুরুতর সমস্যা হলে অবশ্যই দন্ত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।