ক্যাপসিকাম শীতকালীন একটি সবজি। তবে বছরের অন্যান্য সময়ও এর দেখা মেলে। একসময় ক্যাপসিকাম পাওয়া কঠিন হলেও বর্তমানে বেশ সহজলভ্য। দামও আছে হাতের নাগালে। এই সবজিটি সবচেয়ে বেশি ব্যবহার হয় চাইনিজ খাবারে। তবে বিগত কয়েক বছরে শুধু রেস্তঁরার খাবারই নয় খাঁটি বাঙালি গৃহস্থের রান্নাঘরেও বেশ ভালোই জায়গা করে নিয়েছে এই সবজিটি।
শুধু সবুজ নয়, লাল-হলুদ নানা বাহারি রঙের ক্যাপসিকামকে অনেকে চেনেন বেল পেপার নামে। ক্যাপসিকাম বা বেলপেপার বললে মূলত স্বাদ ও সৌন্দর্যের কথা মাথায় এলেও পুষ্টি বিশারদরা কিন্তু বলছেন, শুধু স্বাদ বা সৌন্দর্য বৃদ্ধিই নয়, স্বাস্থ্যকর খাদ্য হিসেবেও কদর প্রাপ্য ক্যাপসিকামের।
>> ক্যাপসিকামে থাকে ক্যাপসিসিন যা শরীরে কোলেস্টেরল ও ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
>> চুল পড়ার সমস্যা কমাতেও বেশ কার্যকর ক্যাপসিকাম। ক্যাপসিকামে থাকা কোলাজেন চুলের গোড়া ভালো রাখতে খুবই উপযোগী।
>> ক্যাপসিকামে থাকে ভিটামিন এ, যা চোখ ভালো রাখতে অত্যন্ত কার্যকর। বয়সজনিত দৃষ্টিশক্তি হ্রাস প্রতিরোধ করতেও এই জুড়ি মেলা ভার।
>> ক্যাপসিকামে থাকে ভিটামিন সি ও কোলাজেন। যেগুলো যথাক্রমে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এবং ত্বক ও অস্থি সন্ধি ভালো রাখতে সাহায্য করে।
>> লাল ক্যাপসিকাম বাড়ায় হজমের ক্ষমতা। যা পরোক্ষভাবে সাহায্য করে দেহের অতিরিক্ত ওজন কমাতে। তাই স্বাস্থ্য সচেতন অনেকেই প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় একে রেখে থাকেন।