অতিপরিচিত একটি ফল কলা। পুষ্টিতে ভরপুর কলা খেতেও বেশ সুস্বাদু। সকালের খাবারে বেশ মানিয়ে যায় এই ফলটি। কলাতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, পটাশিয়ামের মতো প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদানের পাশাপাশি ভিটামিন সির মতো অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। যা আমাদের সুস্বাস্থ্যের জন্য খুব দরকার।
জেনে অবাক হবেন যে, কলার খোসাও বিভিন্নভাবে ব্যবহার করে উপকার পাওয়া সম্ভব। ত্বক, চুল ও দাঁতের যত্ন নেয়ার পাশাপাশি বাহারি সব কাজে কলার খোসা ব্যবহার করা যায়। তাই চলুন জেনে নেয়া যাক ফেলে না দিয়ে কীভাবে কাজে লাগাতে পারেন কলার খোসা-
>> ঘরের বিভিন্ন আসবাবপত্র, শো-পিস ও জুতা পরিষ্কারের দারুণ একটি উপাদান হতে পারে কলার খোসা। এসব জিনিসে কলার খোসা দিয়ে ঘষে পরিষ্কার করলে তা অনেক ঝকঝকে হয়।
>> কলার খোসা ব্যবহার করে আপনি আপনার বিভিন্ন অলংকারকে করে ফেলতে পারেন চকচকে। এটি রুপার নানান অলংকারে ঘষে পরিষ্কার করলে তা আরো টেকসই ও মসৃণ হয়।
>> আপনার সখের বাগানটির পরিচর্যাতেও ব্যবহার করতে পারেন কলার খোসা। এটি আপনার বাগানের প্রকৃতিক সার হিসেবে, এফিড়ের প্রতিষেধক হিসেবে ও প্রজাপ্রতি আকৃষ্ট করতে অনেক ভালো একটি উপদান হিসেবে কাজ করতে পারে। এছাড়া এটি মাটির উর্বরতা বৃদ্ধি করতেও অনেক উপকারী।
>> ত্বকের যত্নে এক চমৎকার উপাদান হিসেবে কাজে লাগাতে পারেন কলার খোসা। ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতে এবং বলিরেখা কমাতে অনেক কার্যকরী হতে পারে এটি। এছাড়া চোখের ফোলাভাব কমাতে ও ত্বককে হাইড্রেট রাখতে এবং ব্রণের দাগ কমাতে সাহায্য করে কলার খোসা।
বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে যে, কলার খোসায় থাকা ফেনোলিক উপাদানের শক্তিশালী অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য রয়েছে এবং এটি স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী। এছাড়া ২০১১ সালের একটি আরেকটি গবেষণায় দেখা গেছে, কলার খোসায় ক্যারোটিনয়েডস এবং পলিফেনলসের মতো বেশ কিছু বায়োঅ্যাক্টিভ যৌগ রয়েছে। তাই কলার খোসা ত্বকে ঘষে পেতে পারেন চমৎকার সব উপকার।
>> চুলের যত্নে প্রাকৃতিক উপাদান হিসাবে কলার খোসা ব্যবহার করা যেতে পারে। কলার খোসায় থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আপনার চুলকে নরম এবং উজ্জ্বল করতে সহায়তা করবে। এছাড়া এটি চুলকে শক্তিশালী এবং স্বাস্থ্যকর রাখতেও সাহায্য করে।
>> প্রাকৃতিক উপায়ে দাঁতকে ঝকঝকে সাদা করার জন্য কলার খোসা ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়া বিষেশজ্ঞরা মনে করেন, দাঁত ও মাড়িতে কলার খেসা ঘষা উপকারী। আর নিয়মিত দাতে কলার খোসা ঘষলে দাত হবে ঝকঝকে সাদা।
>> কলার খোসায় থাকা অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং প্রদাহ বিরোধী বৈশিষ্ট্যের কারণে এটি অনেকটা ওষুধের মতো কাজ করতে পারে। রোদে পোড়া দাগ, আগুনে পোড়ায়, ফুসকুড়িতে ও পোকামাকড় কামড়ালে সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন কলার খোসা। এটি আপনার জ্বালা যন্ত্রণা একটু কমাতে পারে। এছাড়া কলার খোসা ঠাণ্ডা করে ঘাড়ে ও কপালে ব্যবহার করলে তা মাথাব্যথা কমাতে সাহায্য করে