আঁচিল একটি সাধারণ ত্বকের সমস্যা যা হিউম্যান প্যাপিলোমাভাইরাস (Human Papillomavirus) নামক এক ধরনের ভাইরাসের কারণে হয়ে থাকে। ছোট হোক বা বড়, শরীরের যেকোনো অংশে এই বিরক্তিকর মাংসপিণ্ড দেখা দিতে পারে। আঁচিলের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে অনেকেই বিভিন্ন ওষুধ ব্যবহার করেন। তবে, ওষুধের পাশাপাশি কিছু ঘরোয়া টোটকার উপরও ভরসা রাখতে পারেন। জেনে নিন এমন ৫টি সহজ উপায়:
১. ডিম: একটি কাঁচা ডিম ভেঙে তার কুসুম এবং সাদা অংশ ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। এরপর একটি ব্রাশের সাহায্যে এই মিশ্রণটি সরাসরি আঁচিলের উপর লাগান। পর পর দুই সপ্তাহ ধরে সপ্তাহে দু’দিন এটি ব্যবহার করুন। লাগানোর পর কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন যাতে মিশ্রণটি শুকিয়ে যায়। শুকিয়ে গেলে সাবান ও ঠান্ডা জল দিয়ে ভালো করে ধুয়ে ফেলুন।
২. পেঁয়াজের রস: পেঁয়াজের রসে অ্যান্টিসেপটিক গুণ বিদ্যমান, যা বিভিন্ন ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া মেরে ফেলে এবং সংক্রমণের ঝুঁকি কমায়। পেঁয়াজের রসে আঁচিল কমানোর ক্ষমতাও রয়েছে। একটি তুলোর বল পেঁয়াজের রসে ভিজিয়ে সরাসরি আঁচিলের উপর লাগান। নিয়মিত ব্যবহারে উপকার পেতে পারেন।
৩. আপেল সিডার ভিনিগার: আপেল সিডার ভিনিগারে প্রচুর পরিমাণে অ্যাসিড থাকে যা আঁচিলের সমস্যা কমাতে দারুণ সাহায্য করে। একটি তুলোর প্যাড ভিনিগারে ভিজিয়ে নিন এবং সারা রাত আঁচিলের উপর রেখে দিন। এটি পর পর পাঁচ দিন করুন। তবে খেয়াল রাখবেন, ভিনিগার যেন আশেপাশের সুস্থ ত্বকের সংস্পর্শে না আসে।
৪. বেকিং সোডা: ক্যাস্টর অয়েল এবং বেকিং পাউডার মিশিয়ে একটি ঘন পেস্ট তৈরি করুন। এই মিশ্রণটি আঁচিলের উপর ভালোভাবে লাগিয়ে সারা রাত রেখে দিন। বেশ কিছুদিন নিয়মিত ব্যবহারের পর আপনি এর উপকারিতা লক্ষ্য করতে পারবেন।
৫. রসুন: ত্বকের যত্নে রসুনের ব্যবহার বহু প্রাচীনকাল থেকে প্রচলিত। রসুনে অ্যালিসিন (Allicin) নামক একটি শক্তিশালী অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল উপাদান রয়েছে। এক কোয়া রসুন থেঁতো করে সরাসরি আঁচিলের জায়গায় লাগান। এটি আঁচিলের সংক্রমণ কমাতে এবং ধীরে ধীরে শুকাতে সাহায্য করতে পারে।
শরীরের কোনো অংশে আঁচিল দেখা দিলে ঘরোয়া টোটকার পাশাপাশি অবশ্যই একজন ত্বক বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। ঘরোয়া পদ্ধতিগুলি সাধারণত হালকা আঁচিলের ক্ষেত্রে সহায়ক হতে পারে, তবে জটিল বা বড় আকারের আঁচিলের জন্য ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া অপরিহার্য।