অ্যাসিডিটির জ্বালায় অস্থির? ঘরোয়া এই উপায়ে পান দ্রুত মুক্তি!

অ্যাসিডিটির সমস্যায় বুক ও পেট জ্বালাপোড়া অসহ্য যন্ত্রণার কারণ হতে পারে। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে বাজারে বিভিন্ন ধরনের ওষুধ ও কেমিক্যালযুক্ত ইনস্ট্যান্ট পানীয় পাওয়া গেলেও, তাদের ক্ষতিকর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকতে পারে। তাই অ্যাসিডিটির সমস্যা সমাধানে প্রাকৃতিক উপায় ব্যবহার করাই বুদ্ধিমানের কাজ। আজ জেনে নিন প্রাকৃতিক উপায়ে দ্রুত এই যন্ত্রণাদায়ক সমস্যা থেকে মুক্তির কিছু সহজ ও কার্যকরী উপায়।

যা করবেন:

কলা বা আপেল: অ্যাসিডিটির সমস্যায় দ্রুত একটি কলা অথবা আপেল খেয়ে নিন। এই ফল দুটি পেটের অ্যাসিড কমাতে সাহায্য করে এবং আরাম দেয়।
সোজা হয়ে থাকুন: খাওয়ার পর কখনোই শুয়ে থাকবেন না। থুঁতনি উঁচু করে সোজা হয়ে বসুন বা কিছুক্ষণ হাঁটুন। এতে গ্যাসের কারণে বুক জ্বালা কম হবে।
ধীরে ধীরে চিবিয়ে খান: তাড়াহুড়ো করে খাবার গোগ্রাসে গিলবেন না। ধীরে ধীরে সময় নিয়ে খাবার ভালোভাবে চিবিয়ে খান। তাড়াহুড়ো করে খেলে খাবার হজম হতে সমস্যা হয় এবং অ্যাসিডিটির প্রবণতা বাড়ে।
খাবারের সময় মেনে চলুন: খাবারের অনিয়ম অ্যাসিডিটির অন্যতম প্রধান কারণ। তাই প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে খাবার গ্রহণ করার চেষ্টা করুন।
তাৎক্ষণিক মুক্তি পেতে প্রাকৃতিক সমাধান:

১. আদা চা: খাওয়ার অন্তত ২০ মিনিট আগে এক কাপ আদা চা পান করলে খাওয়ার পর বুক জ্বালার সমস্যা অনেকাংশে কমে যায়। এমনকি খাওয়ার পরেও বুক জ্বালা শুরু হলে আদা চা পান করলে দ্রুত আরাম পাওয়া যায়।
* ১ ইঞ্চি পরিমাণ ৩ টুকরো আদা কুচি করে একটু থেঁতো করে নিন।
* ২ কাপ জলে আদা ফুটিয়ে নিন।
* ঢাকনা দিয়ে ঢেকে অল্প আঁচে প্রায় ৩০ মিনিট ফুটিয়ে নামিয়ে নিন।
* ছেঁকে এই পানীয় পান করুন। খাওয়ার আগে পান করলে ২০ মিনিট আগে পান করুন এবং পরে পান করলে বুক জ্বালা কমাতে পান করুন।

২. বেকিং সোডা: বেকিং সোডার সোডিয়াম বাই-কার্বনেট অ্যাসিডিটির সমস্যা খুব দ্রুত নিরাময়ে বিশেষভাবে সহায়ক। এর পিএইচ ৭-এর বেশি হওয়ায় এটি পেটের অ্যাসিডকে প্রশমিত করে জ্বালাপোড়া কমিয়ে দেয়।
* আধা থেকে ১ চা চামচ বেকিং সোডা ১ গ্লাস জলে ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। বেকিং সোডার পরিমাণ এর বেশি নেবেন না।
* প্রয়োজনে এই পদ্ধতি দিনে ২-৩ বার ব্যবহার করতে পারেন। তবে প্রতিদিন এই পদ্ধতি অবলম্বন করবেন না। সপ্তাহে ১-২ বার পান করাই যথেষ্ট।

এই সহজলভ্য প্রাকৃতিক সমাধানগুলো অবলম্বন করে আপনি অ্যাসিডিটির যন্ত্রণাদায়ক সমস্যা থেকে দ্রুত মুক্তি পেতে পারেন। তবে সমস্যা যদি দীর্ঘস্থায়ী হয়, তবে অবশ্যই একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

Related Posts

© 2025 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy