মুচমুচে ঢেঁড়স ভাজা খেতে ভালোবাসেন নিশ্চয়ই? তবে জানেন কি, এই ঢেঁড়সের জল শরীরের হাজারো রোগ নিমেষে দূর করে দিতে পারে? রোগ নিয়ন্ত্রণে ঢেঁড়সের জল সত্যিই খুব উপকারী।
ঢেঁড়স, যা ওকড়া নামেও পরিচিত, একটি অত্যন্ত পুষ্টিকর সবজি। এতে ক্যালোরির পরিমাণ খুবই কম, মাত্র ৩০ শতাংশ। তবে ভিটামিন সি ও ম্যাগনেসিয়ামের এটি একটি চমৎকার উৎস। এক গ্লাস ঢেঁড়সের জল পান করলে প্রায় ৬ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট, ৮০ মাইক্রোগ্রাম ফোলেট, ৩ গ্রাম ফাইবার এবং ২ গ্রাম প্রোটিন পাওয়া যায়।
এই পানীয়টির রয়েছে অসংখ্য স্বাস্থ্য উপকারিতা। এর মধ্যে অন্যতম হলো, হাঁপানি রোগের উপশমে এটি অত্যন্ত কার্যকর বলে মনে করা হয়। এছাড়াও, ঢেঁড়সের জল শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
শুধু তাই নয়, ওজন নিয়ন্ত্রণ, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করা, দৃষ্টিশক্তি উন্নত করা, রক্তে শর্করার পরিমাণ ও কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখার ক্ষেত্রেও ঢেঁড়স বিশেষভাবে সহায়ক। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য তো এটি এক প্রকার ম্যাজিকের মতোই কাজ করে। রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে ঢেঁড়স সেদ্ধ, ভাজা বা তরকারির পাশাপাশি ঢেঁড়স ভেজানো জলও নিয়মিত পান করতে পারেন।
কীভাবে বানাবেন ঢেঁড়স ভেজানো জল?
ঢেঁড়সের জল তৈরি করা খুবই সহজ। এর জন্য প্রয়োজন:
৪-৫টি তাজা ঢেঁড়স
৩ কাপ জল
একটি কাঁচের জার
প্রস্তুত প্রণালী:
১. প্রথমে ঢেঁড়সগুলো ভালো করে ধুয়ে নিন।
২. ঢেঁড়সের মাথার দিকের অংশ কেটে বাদ দিন।
৩. এরপর প্রতিটি ঢেঁড়স লম্বালম্বিভাবে চিরে নিন।
৪. একটি কাঁচের জারে তিন কাপ জল ঢালুন।
৫. কাটা ঢেঁড়সগুলো জলের মধ্যে দিয়ে দিন।
৬. জারটি ঢাকনা দিয়ে ঢেকে সারারাত (কমপক্ষে ৮ ঘণ্টা) ভিজিয়ে রাখুন।
৭. সকালে ঘুম থেকে উঠে জলের মধ্যেই ঢেঁড়সগুলো চিপে অতিরিক্ত জল বের করে নিন।
৮. এরপর ঢেঁড়সগুলো ফেলে দিন এবং তৈরি হওয়া জলটি পান করুন।
ঢেঁড়স প্রোটিন সমৃদ্ধ একটি সবজি। ডায়াবেটিস রোগীদের খাদ্যতালিকায় উচ্চ প্রোটিন রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়, কারণ উচ্চ প্রোটিনযুক্ত খাবার দীর্ঘক্ষণ পেট ভরিয়ে রাখে এবং অন্যান্য চিনিযুক্ত খাবারের প্রতি আসক্তি কমাতে সাহায্য করে। ডায়াবেটিসের উপকারিতা পেতে সকালের নাস্তার আগে এই জল পান করুন। নিয়মিত ঢেঁড়সের জল পান করে আপনিও পেতে পারেন সুস্থ ও রোগমুক্ত জীবন।