আপনি কি বিভিন্ন ধরনের ক্রিম এবং ক্লিনজার ব্যবহার করে ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন, কিন্তু আপনার নিস্তেজ ত্বকের কোনো উন্নতি হচ্ছে না? যদি তাই হয়, তবে এবার ত্বকের যত্নে বাইরের পরিবর্তে ভেতরের দিকে নজর দিন। কীভাবে? অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ পুষ্টিকর খাবারের মাধ্যমে! এই খাবারগুলো শুধু আপনার সামগ্রিক স্বাস্থ্যের জন্যই উপকারী নয়, বরং প্রাকৃতিকভাবে উজ্জ্বল, নরম এবং স্বাস্থ্যকর ত্বক পেতেও সাহায্য করে।
সম্প্রতি একটি ইনস্টাগ্রাম ভিডিওতে, সুস্থতা বিশেষজ্ঞ এবং সৌন্দর্য লেখক বসুধা রাই ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ানোর জন্য একটি সহজ জুসের রেসিপি শেয়ার করেছেন। এই জুস তৈরি করা খুবই সহজ এবং এর জন্য প্রয়োজন মাত্র কয়েকটি উপাদান। চলুন জেনে নিই এই জুসের উপকারিতা এবং এটি কীভাবে তৈরি করবেন।
জুসের উপাদান ও উপকারিতা
বিটরুট
ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর বিটরুট ত্বকের প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা বাড়াতে সাহায্য করে। এর প্রদাহ-বিরোধী গুণ ব্রণ কমায় এবং ত্বকের জ্বালাপোড়া কমাতে কার্যকর।
গাজর
গাজর ভিটামিন এ (রেটিনল)-এর একটি দুর্দান্ত উৎস। ত্বকের যত্নে ব্যবহৃত প্রোডাক্টে রেটিনল একটি জনপ্রিয় উপাদান। এটি ত্বকের কোষ উৎপাদনে সহায়তা করে, ছিদ্র পরিষ্কার রাখে, ত্বককে এক্সফোলিয়েট করে এবং কোলাজেন উৎপাদন বাড়ায়।
আমলকি
আমলকি ভিটামিন সি-এর ভাণ্ডার। এই শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ফ্রি র্যাডিক্যালের ক্ষতি থেকে ত্বককে রক্ষা করে, বার্ধক্য প্রক্রিয়াকে ধীর করে এবং কোলাজেন উৎপাদনের মাধ্যমে ত্বককে দৃঢ় ও তরুণ রাখে।
হলুদ
হলুদের প্রধান উপাদান কারকিউমিন অক্সিডেটিভ স্ট্রেসের বিরুদ্ধে লড়াই করে এবং বার্ধক্যের দৃশ্যমান লক্ষণগুলো কমাতে সহায়তা করে। এর অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টিসেপটিক গুণ ব্রণ নিয়ন্ত্রণে কার্যকর।
আদা
আদার অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি গুণ ত্বকের বার্ধক্য কমায়। এছাড়া এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান ত্বককে স্বাস্থ্যকর ও উজ্জ্বল করে তোলে।
জুস তৈরির রেসিপি
উপকরণ:
২-৩টি বিটরুট
৬-৮টি গাজর
৫টি আমলকি
ছোট এক টুকরো কাঁচা হলুদ
ছোট এক টুকরো আদা
প্রস্তুত প্রণালী:
সব উপাদান একটি ঠান্ডা জুসারে ব্লেন্ড করে নিন।
এবার গ্লাসে ঢেলে তৎক্ষণাৎ পান করুন।
যদি জুসার না থাকে, তবে ব্লেন্ডারে সব ব্লেন্ড করে ছেঁকে নিন।
নিয়মিত এই জুস পান করলে আপনার ত্বক দ্রুতই তার হারানো উজ্জ্বলতা ফিরে পাবে। তাহলে আর দেরি কেন? আজই শুরু করে দিন এই প্রাকৃতিক উপায়ে ত্বকের যত্ন!