রূপচর্চায় কাঁচা হলুদের ব্যবহার বহু পুরনো। আগেকার দিনে কাঁচা হলুদ বেটে দুধের সরের সঙ্গে মিশিয়ে মুখে মাখার চল ছিল। আসলে হলুদের গুণ অনেক। এতে রয়েছে কারকিউমিন নামে একটি উপাদান। অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টে ভরপুর কাঁচা হলুদ শুধু মুখে দীপ্তি ফেরায় না, এতে থাকা অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল উপাদান ব্রণ, ফুস্কুড়ির সমস্যাও সমাধান করে।
জেনে নিন হলুদ দিয়ে কীভাবে বানিয়ে নেবেন ত্বকের উপযোগী মাস্ক?
শুষ্ক, সাধারণ ত্বকের জন্য
উপকরণ
কাঁচা হলুদ বাটা-২ টেবিল চামচ
চন্দনগুঁড়া-১ টেবিল চামচ
মধু-১ টেবিল চামচ
দুধ-২ টেবিল চামচ
পদ্ধতি: সব উপকরণ একসঙ্গে মিশিয়ে নিন। তারপর ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধুয়ে মাস্কটি মুখে লাগিয়ে নিন। মিনিট ১৫ রেখে মুখে জলের ঝাপটা দিন। মাস্ক নরম হয়ে যাবে। সেটি তোলার সময় হালকা হাতে মালিশ করুন। তারপর ধুয়ে ফেলুন। শুষ্ক বা সাধারণ ত্বকের জন্য এই মাস্কটি ভালো।
তৈলাক্ত ত্বকের জন্য
উপকরণ
কাঁচা হলুদ বাটা-২ টেবিল চামচ
বেসন-১ টেবিল চামচ
টক দই-১ টেবিল চামচ
পদ্ধতি: তৈলাক্ত ত্বকের জন্য মুখের এই মাস্কটি ভালো। দই, বেসন এবং হলুদ একসঙ্গে মিশিয়ে নিন। তারপর পরিষ্কার মুখে তা মেখে ফেলুন। ১৫ মিনিট মুখে রেখে ধুয়ে নিন।
জেল্লাহীন ত্বকের জন্য
উপকরণ
কাঁচা হলুদ বাটা-২ টেবিল চামচ
ওটস গুঁড়া-১ টেবিল চামচ
দুধ-২টেবিল চামচ
পদ্ধতি: জেল্লাহীন ত্বকের জন্য এই মাস্ক বিশেষ কার্যকর। কাঁচা হলুদ, ওটস গুঁড়া, দুধ একসঙ্গে মিশিয়ে নিন। তারপর তা মুখে ১৫ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন।
স্পর্শকাতর ত্বকের জন্য
উপকরণ
কাঁচা হলুদ বাটা-১ টেবিল চামচ
অ্যালোভেরা জেল-১ টেবিল চামচ
পদ্ধতি: দু-টি উপকরণ ভালো করে মিশিয়ে নিন। তারপর মুখ ধুয়ে তা মেখে নিন। ত্বক স্পর্শকাতর হলে ১০ মিনিট রেখেই তা ধুয়ে ফেলুন। তবে মাস্কের জন্য সরাসরি অ্যালোভেরার শাঁস ব্যবহার না করে, জেল মাখাই ভালো।
কালচে ভাব দূর করতে
কাঁচা হলুদ বাটা-১ টেবিল চামচ
মুলতানি মাটি-১ টেবিল চামচ
পদ্ধতি: দু-টি উপকরণ ভালো করে মিশিয়ে নিন। মেশানোর সময় বেশি শুকনো মনে হলে দু-চামচ গোলাপজল যোগ করতে পারেন। রোদে পোড়া কালচে দাগ তুলতে এই মাস্কটি বিশেষ সহায়ক।