আজ ১৯ নভেম্বর পালন করা হয় বিশ্ব টয়লেট দিবস। ২০০১ সাল থেকে প্রতিবছর পালিত হয়ে আসছে দিনটি। শতভাগ টয়লেট সুবিধা নিশ্চিতকরণের বিষয়টি মাথায় রেখে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ দিবসটি পালন করে থাকে।
২০০১ সালে ওয়ার্ল্ড টয়লেট অর্গানাইজেশনের (WTO) প্রতিষ্ঠাতা জ্যাক সিম এ দিবস পালনের উদ্যোগ গ্রহণ করেন। ২০১৩ সালে জাতিসংঘ বিশ্ব টয়লেট দিবসকে একটি আনুষ্ঠানিক দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। বিশ্বজুড়ে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, স্যানিটেশন এবং সঠিক টয়লেট ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে দিনটি পালন করা হয়।
কেন এই দিবসের উদ্যোগ?
আপাতভাবে নির্দিষ্ট স্থানে টয়লেট বা শৌচাগার ব্যবস্থাকে গুরুত্বপূর্ণ না মনে হলেও মানুষের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে এর ভূমিকা অনেক। এখনো বিশ্বের বড় সংখ্যক মানুষ নিরাপদ টয়লেট সুবিধা থেকে বঞ্চিত। অনেকে উন্মুক্ত স্থানে শৌচকর্ম করেন যা স্বাস্থ্য ও পরিবেশের জন্য হুমকিস্বরূপ।
খোলা জায়গায় শৌচ করলে নানাবিধ রোগ ছড়াতে পারে। এছাড়াও সঠিক পদ্ধতি মেনে শৌচ না করলে নানারকম রোগ ছড়ায়। কিছু কিছু রোগে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।
বিশ্বের অনেক দেশই শৌচাগারের পরিচ্ছন্নতার ব্যাপারে পিছিয়ে রয়েছে। সারা বিশ্বে কোটি কোটি মানুষ এই অসুবিধার মধ্যে রয়েছেন। বিশেষ করে অল্প আয়ের দেশগুলোতে এই সমস্যা বেশি।
এছাড়া দুর্গম অঞ্চলগুলোতে মানুষ এখনও শৌচের সমস্যায় ভুগছেন। সবার জন্য পরিছন্ন ও নিরাপদ শৌচাগারের ব্যবস্থা করাও এই দিনটির উদ্দেশ্য। আর তাই বিশ্বের সব দেশকেই এই বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে এবং মানুষকে সচেতন করতে বিশ্বব্যাপী এই দিবস পালন করা হয়।
এই বৈশ্বিক উদ্যোগ স্যানিটেশন সংকট নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে ভূমিকা রাখে।
জাতিসংঘের সাসটেনেবল ডেভেলপমেন্ট গোল (এসডিজি) অনুযায়ী ২০৩০ সালের মধ্যে সারা বিশ্বে সবার জন্য পরিচ্ছন্ন শৌচাগার থাকার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।