কোন ফলের খোসা স্বাস্থ্য সুরক্ষায় উপকারী? দেখেনিন তাহলে উত্তরটি

ফল খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী। আমরা সাধারণত সব ধরনের ফলের খোসা ছাড়িয়ে খেয়ে থাকি। তবে এমন কিছু ফল রয়েছে যা খোসা না ছাড়িয়ে খাওয়া উচিত। বিশষজ্ঞরা বলেছেন, তাজা ফল শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। তবে কিছু ফলের খোসা ছাড়িয়ে খেলে পুষ্টিগুণ হারাতে পারে। এ কারণে কিছু ফল খোসাসহ খাওয়া উচিত। এক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে, খোসাসহ খাওয়ার আগে ফলটি অবশ্যই ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে।

এবার জেনে নিন ছয়টি ফলের নাম যেগুলোর খোসা ছাড়িয়ে খাওয়া উচিত নয়-

আপেল

অনেকের পছন্দের তালিকায় থাকা এই ফলে আছে প্রচুর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট। খোসাসহ এই ফল খেলেও এর উপকারিতা সিংহভাগেরই অজানা। আপেলের খোসায় থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট উপাদান আলৎঝাইমার’স রোগ ও অন্যান্য ক্ষয়জনিত সমস্যার বিরুদ্ধে লড়াই করে। খোসাতে আঁশ ও ভিটামিনও থাকে প্রচুর, যা স্বাস্থ্যের জন্য অপরিহার্য। এতে থাকা আরেকটি উপাদানের নাম হলো ‘ট্রাইটারপেনোইডস’, যা ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়।

নাশপাতি

এই ফলের খোসা ছাড়ালে হারাতে হবে আঁশ ও পুষ্টিগুণের অনেকটাই। ফলটির মোট পুষ্টি ও আঁশের প্রায় অর্ধেকটাই থাকে এর খোসায়। এছাড়াও থাকে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ড ও প্রদাহরোধী উপাদান। তাই খোসাসহ ফলটি খাওয়াই সবচাইতে ভালো।

আলুবোখরা

মানসিক চাপ দূর করতে সুস্বাদু এই ফল অত্যন্ত কার্যকর। এর খোসাতে থাকে ‘ক্লোরোজেনিক অ্যাসিড’ নামক অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন সি। কোষ্ঠ্যকাঠিন্য ও অন্যান্য হজমের সমস্যা দূর করতে খোসাসহ আলুবোখরা খাওয়া বেশ উপকারী।

কিউই

পুষ্টিগুণে ভরপুর এই ফল আরও পুষ্টিকর করে তোলে এর খোসা। খোসা ছাড়া খাওয়ার তুলনায় খোসাসহ খেলে আঁশ মেলে প্রায় তিনগুণ বেশি। আর খোসা যেহেতু ফলটির ভিটামিন সি সংরক্ষণ করে তাই ফলটি খোসাসহ খাওয়া বেশি উপকারী।

আম

আমের খোসায় থাকে চর্বি পোড়াতে সহায়ক ও চর্বি কোষ তৈরি রোধ করে এমন উপাদান। আরও থাকে ক্যারোটিনয়েড, পলিফেনল, ওমেগা থ্রি, ওমেগা সিক্স, পলিআনস্যাচারেইটেড ফ্যাটি অ্যাসিড যা ক্যানসার, ডায়বেটিস ও হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। আমের খোসা রান্না করে অথবা শুধু খোসা চিবিয়ে খেতে পারেন। ফল ও খোসা একসঙ্গে খাওয়ার আরেকটি উপায় আঁচার বানিয়ে খাওয়া।

Related Posts

© 2025 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy