হোয়াটসঅ্যাপ আর টেলিগ্রামের এই যুগে এখন বেশিরভাগ কথোপকথনই হয় মেসেজের মাধ্যমে। আগে যে কথাগুলো সরাসরি ফোনে বলা হতো, আজকাল অনেকেই সেই বিষয়ে বার্তালাপ করতেই বেশি স্বচ্ছন্দ্য বোধ করেন। আর এই মেসেজের মাধ্যমেই অনেক সময় সম্পর্কের মাঝে দেখা দেয় নানা জটিলতা ও ভুল বোঝাবুঝি।
সাম্প্রতিককালে বহু প্রেমিক যুগলের মধ্যেই একটি বিশেষ সমস্যা মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে – প্রেমের সম্পর্কে মিথ্যার আশ্রয় নেওয়া বা অজুহাত দেওয়া। আর এই প্রবণতা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় মেসেজের মাধ্যমে। এর ফলস্বরূপ সম্পর্কের মধ্যে জন্ম নেয় সন্দেহ ও অবিশ্বাস। তবে বিশেষজ্ঞরা এমন কিছু কৌশলের কথা জানিয়েছেন, যার সাহায্যে আপনি সহজেই ধরে ফেলতে পারবেন আপনার সঙ্গী মেসেজে সত্যি বলছেন নাকি মিথ্যার আড়ালে কিছু লুকাচ্ছেন।
১) কথার খেলাপ ধরুন:
যদি আপনার মনে হয় আপনার সঙ্গী আপনাকে ঘন ঘন মিথ্যা বলছেন, তাহলে প্রথমেই শান্ত থাকুন এবং গত কয়েকদিনের মেসেজের কথোপকথন মনে করার চেষ্টা করুন। কোনো একটি বিশেষ ঘটনার প্রসঙ্গ তুলুন এবং সেই বিষয়ে প্রশ্ন করুন। লক্ষ্য করুন, মেসেজে দেওয়া উত্তর আগের উত্তরের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ কিনা। উদাহরণস্বরূপ, যদি আপনার সঙ্গী আপনাকে না জানিয়ে কোথাও গিয়ে থাকেন এবং আপনি অন্য সূত্রে সেই খবর পান, তাহলে মেসেজে সেই দিনের কথা উল্লেখ করে জিজ্ঞাসা করুন। দেখুন আগের দেওয়া জবাবের সঙ্গে এখনকার জবাব মেলে কিনা।
২) উত্তরের জন্য অতিরিক্ত সময়:
আপনার কোনো প্রশ্নের উত্তর দিতে যদি আপনার সঙ্গী স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি সময় নেন, তাহলে আপনার সন্দেহ অমূলক নয়। সম্ভবত তিনি একটি মনগড়া উত্তর সাজানোর চেষ্টা করছেন অথবা সত্য গোপন করার ফন্দি আঁটছেন।
৩) পাল্টা প্রশ্নের বন্যা:
যদি আপনি কোনো নির্দিষ্ট প্রশ্ন করেন এবং আপনার সঙ্গী সরাসরি উত্তর না দিয়ে একের পর এক পাল্টা প্রশ্ন করতে শুরু করেন অথবা আলোচনার মোড় ঘুরিয়ে ঝগড়া বাঁধিয়ে দেন, তাহলে বুঝবেন তিনি নিশ্চিতভাবে কিছু লুকাচ্ছেন। ঝগড়া আসলে সত্য চাপা দেওয়ার একটি কৌশল হতে পারে।
পরিশেষে, বিশেষজ্ঞরা বলছেন এই পুরো বিষয়টিই মূলত আপনার অনুভূতির উপর নির্ভরশীল। তাই সম্পর্কে শান্তি বজায় রাখতে এবং ভুল বোঝাবুঝি এড়াতে সরাসরি আপনার সঙ্গীর সঙ্গে আলোচনা করুন। মেসেজের অস্পষ্টতা অনেক সময় ভুল ধারণার জন্ম দিতে পারে। সরাসরি কথা বলার মাধ্যমেই সম্পর্কের জটিলতা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব।