ওজন কমানোর প্রচেষ্টা কিংবা কেবল অভ্যাসের পরিবর্তন—অনেকেই এখন দুধ-লাল চায়ের পরিবর্তে ঝুঁকছেন গ্রিন টি-র দিকে। তবে স্বাস্থ্য সচেতন মানুষের মধ্যে এখন নতুন আকর্ষণ সৃষ্টি করেছে ব্লু টি। অপরাজিতা ফুল এবং নীল জবার মিশ্রণে তৈরি এই চা তার হালকা টক স্বাদ ও মনোমুগ্ধকর নীল রঙের জন্য ইতিমধ্যেই জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। শুধু তাই নয়, এই চায়ের রয়েছে একাধিক স্বাস্থ্য উপকারিতাও।
বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রতিদিন ব্লু টি পান করলে আমাদের শরীর নানা দিক থেকে উপকৃত হতে পারে। নিচে সেই উপকারিতাগুলো তুলে ধরা হলো:
রোগ প্রতিরোধে সহায়ক: বর্ষাকালে ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ বেড়ে যায়। ব্লু টি অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টে ভরপুর থাকে, যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সহায়ক। নিয়মিত ব্লু টি পান করলে বিভিন্ন সংক্রমণের ঝুঁকি কমানো যেতে পারে।
হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়: ব্লু টি-তে অ্যান্টিথ্রম্বোটিক বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান। এই কারণে, এটি রক্ত জমাট বাঁধা প্রতিরোধ করে। নিয়মিত এই চা পান করলে কোলেস্টেরল এবং উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। ফলস্বরূপ, হৃদরোগের ঝুঁকিও অনেকাংশে কমে যায়।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়ক: বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে যে, নিয়মিত ব্লু টি পান করলে রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য এই চা একটি উপকারী পানীয় হতে পারে।
হজমে সাহায্য করে: ব্লু টি হজম প্রক্রিয়াকে উন্নত করতে সাহায্য করে। ভারী খাবার গ্রহণের পূর্বে এক কাপ ব্লু টি পান করলে তা হজমকারিতা বাড়াতে পারে। এছাড়াও, এটি বিপাক হার বৃদ্ধি করে এবং বমি বমি ভাব কমাতে সাহায্য করে।
মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়ায়: প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় ব্লু টি যোগ করলে তা মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়ক হতে পারে। এটি স্মৃতিশক্তি উন্নত করে এবং মানসিক চাপ, উদ্বেগ ও অবসাদ কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
সুতরাং, যারা স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করতে চান এবং চায়ের স্বাদ বদলাতে আগ্রহী, তারা অনায়াসে ব্লু টি-কে তাদের দৈনন্দিন রুটিনে অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন। এর মনোমুগ্ধকর রঙ ও স্বাস্থ্যগুণ উভয়ই আপনাকে আকৃষ্ট করবে।