‘মাছে ভাতে বাঙালি’ – এই প্রবাদ যেন মুড়িঘণ্ট ছাড়া অসম্পূর্ণ। মাছের মাথা বলতেই বাঙালির মনে ভেসে ওঠে এই লোভনীয় পদটির ছবি। মুড়িঘণ্ট বাঙালির অন্যতম প্রিয় খাবার, যা বিশেষ অনুষ্ঠানে বা ঘরোয়া আয়োজনে সহজেই তৈরি করা যায়।
আজ আমরা জানবো ঐতিহ্যবাহী এই বাঙালি রান্নাটি করার একটি সহজ এবং সুস্বাদু উপায়।
উপকরণ:
১টি বড় মাছের মাথা (প্রয়োজনে মাছের টুকরোও ব্যবহার করতে পারেন)
১ কাপ মুগডাল
৮ গ্লাস জল
পেঁয়াজ বাটা ২ টেবিল চামচ
আদা বাটা ২ চা চামচ
রসুন বাটা ২ চা চামচ
মরিচের গুঁড়া ২ চা চামচ
হলুদ গুঁড়ো আধা চা চামচ
জিরা ১ চা চামচ
দারুচিনি ২ টুকরো, লবঙ্গ ২ টি, এলাচ ২ টি
তেজপাতা ২ টি
কাঁচা সবুজ মরিচ ৫ টি
চিনি ২ চা চামচ
সয়াবিন তেল ১/২ কাপ
স্বাদমতো লবণ
ভাজার জন্য: কাটা পেঁয়াজ ১ কাপ এবং সয়া সস ২ টেবিল চামচ
গার্নিশের জন্য: ঘি এবং বেরেস্তা
প্রণালী:
১. প্রথমে কড়াইতে তেল গরম করে তাতে ১ কাপ পেঁয়াজ কুচি দিয়ে বেরেস্তা করে তুলে নিন।
২. আলাদা একটি পাত্রে মাছের মাথা ভালো করে ধুয়ে সামান্য হলুদ ও লবণ মাখিয়ে নিন। যদি মাছের টুকরো ব্যবহার করেন, তবে সেগুলোও সামান্য ভেজে তুলে রাখুন।
৩. মুগডাল হালকা আঁচে একটু ভেজে নিন।
৪. এবার কড়াইতে তেল গরম করে মেরিনেট করা মাছের মাথা একপাশে হালকা ভাজুন। এরপর কড়াইয়ের অন্যপাশে পেঁয়াজ বাটা, রসুন বাটা ও আদা বাটা দিয়ে ৫ মিনিট ভাজুন।
৫. পেঁয়াজ-আদা-রসুন ভাজা হয়ে গেলে তাতে লাল মরিচের গুঁড়া, লবণ ও আগে থেকে ভেজে রাখা মুগডাল মিশিয়ে নিন। এরপর জল ও সামান্য হলুদ দিয়ে ভালোভাবে নাড়াচাড়া করুন।
৬. আঁচ কমিয়ে রান্না করতে থাকুন। ডাল ভালোভাবে সেদ্ধ হয়ে ঝোল ঘন হয়ে এলে তার ওপর ভেজে রাখা মাছের মাথা বা মাছের টুকরোগুলো ছড়িয়ে দিন। এরপর জিরা গুঁড়ো এবং কাঁচা সবুজ মরিচ চিরে দিয়ে দিন। চিনি ছড়িয়ে দিন।
৭. দারুচিনি, লবঙ্গ ও এলাচ এবং তেজপাতা যোগ করুন।
৮. কড়াই ঢেকে আরও ৫ মিনিট রান্না করুন।
৯. ৫ মিনিট পর ঘি এবং আগে করে রাখা বেরেস্তা দিয়ে ঢেকে দিন। আরও ৫ মিনিট খুব কম আঁচে রান্না করুন, যাতে ডাল ঘি ও বেরেস্তার সুগন্ধ ভালোভাবে মিশে যায়।
১০. ৫ মিনিট পর চুলার আঁচ বন্ধ করে দিন।
ব্যস! তৈরি হয়ে গেল বাঙালির ঐতিহ্যবাহী এবং জিভে জল আনা খাবার মুড়িঘণ্ট। গরম ভাতের সাথে পরিবেশন করুন আর উপভোগ করুন এর অসাধারণ স্বাদ।