মানুষের জীবনের নিত্যসঙ্গী স্মার্টফোন। ঘরে ও বাইরে—সব জায়গায় ফোন ব্যবহার করা হয়। ধুলা-ময়লা, আঙুলের ছাপ ও ব্যাকটেরিয়া ফোনের স্ক্রিনে প্রতিনিয়ত জমে। তবে এই জমে থাকা ময়লা সঠিক উপায়ে পরিষ্কার করতে হয়; না হলে ডিভাইসের ক্ষতি হতে পারে।
স্ক্রিন পরিষ্কারের জন্য যা ব্যবহার করবেন
মাইক্রোফাইবার কাপড়: মাইক্রোফাইবার কাপড় স্ক্রিনের ময়লা ও ফিঙ্গার প্রিন্ট কার্যকরভাবে মুছে ফেলতে সাহায্য করে।
বিশুদ্ধ বা ফোটানো জল: মাইক্রোফাইবার কাপড়ে এক-দুই ফোঁটা জল দিয়ে পরিষ্কার করা যায়। তবে স্ক্রিনের বাইরে ডিভাইসে অন্য কোনো স্থানে যেন জল প্রবেশ না করে, তা খেয়াল রাখতে হবে। আর কলের জল সরাসরি ব্যবহার না করে বিশুদ্ধ জল ব্যবহার করতে হবে। কারণ, কলের জলের বিভিন্ন সূক্ষ্ম উপাদান স্ক্রিনে দাগ ফেলতে পারে।
আইসোপ্রোপাইল অ্যালকোহল (৭০ শতাংশ) : জীবাণুনাশক হিসেবে আইসোপ্রোপাইল অ্যালকোহল (৭০ শতাংশ) ব্যবহার করতে পারেন। তবে উচ্চ মাত্রার আইসোপ্রোপাইল অ্যালকোহল ব্যবহার করা যাবে না।
প্রতিদিন স্ক্রিন পরিষ্কারের প্রক্রিয়া
১. প্রথমেই ফোনটি চার্জার থেকে খুলে ফেলুন এবং পাওয়ার অফ মোডের মাধ্যমে ফোনটি সম্পূর্ণ বন্ধ করুন।
২. মাইক্রোফাইবার কাপড়ের মাধ্যমে ধুলো ও আঙুলের ছাপ মুছে ফেলুন। এরপর আইসোপ্রোপাইল অ্যালকোহল বা এক-দুই ফোঁটা জল মাইক্রোফাইবার কাপড়ে নিয়ে ধীরে ধীরে স্ক্রিন পরিষ্কার করতে হবে। তবে ফোনের স্ক্রিনে বেশি চাপ দেওয়া যাবে না।
৩. এরপর কিছুক্ষণের জন্য ফোনটি বাতাসে শুকাতে দিতে হবে। পুরোপুরি শুকানোর পর ফোনের কেসটি লাগানো যাবে।
স্ক্রিন পরিষ্কারের সময় যেসব কাজ করা যাবে না
পেপার টাওয়েল বা টিস্যু: টিস্যু ব্যবহারের ফলে ফোনের স্ক্রিনে স্ক্র্যাচ পড়তে পারে।
শক্তিশালী রাসায়নিক পরিষ্কারক এড়িয়ে চলুন : উইন্ডো ক্লিনার, ব্লিচসহ অন্যান্য শক্তিশালী রাসায়নিক পরিষ্কারক এড়িয়ে চলতে হবে। নতুন ফোনে এসব ব্যবহার করলে ফোনের ওয়ারেন্টি পরে কার্যকর হবে না।
সরাসরি তরল পদার্থ স্ক্রিনে ব্যবহার : সরাসরি তরল পদার্থ স্ক্রিনে ঢালা বা স্প্রে করা যাবে না। এটি স্ক্রিনের ভেতরে ঢুকে ফোনের ক্ষতি করতে পারে।
প্রতিদিন অন্তত একবার আপনার ফোনটি পরিষ্কার করা উচিত। ফোনের স্ক্রিনে ব্যাকটেরিয়া মানুষের দেহে বিভিন্ন ধরনের রোগ সৃষ্টি করতে পারে।