এক সময়ের ভালোবাসার মানুষটিকে ছেড়ে যাওয়ার কথা ভাবছেন? সম্পর্কে তিক্ততা বেড়েছে, অথবা আগের মতো আর সেই টান অনুভব করছেন না? কিংবা অন্য কোনো বিশেষ কারণে সম্পর্ক আর এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না? ব্রেকআপ যদি একমাত্র সমাধান মনে হয়, তাহলে মাথা ঠান্ডা করে সিদ্ধান্ত নিন। এতে বিচ্ছেদের প্রক্রিয়া অনেক সহজ হয়ে যাবে।
ব্রেকআপের সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর কিছু বিষয় মনে রাখা জরুরি। নিচে ৭টি গুরুত্বপূর্ণ টিপস দেওয়া হলো:
১. আলোচনা করুন, নীরবতা নয়:
অনেকেই ব্রেকআপের সময় এলে সঙ্গীর সঙ্গে কথা বলা বন্ধ করে দেন। এতে কিন্তু আপনার সঙ্গী আরও বেশি আঘাত পান। তার চেয়ে বরং মন খুলে কথা বলুন। আপনাদের সম্পর্কের সমস্যাগুলো তাকে জানান। প্রয়োজন হলে একটু বেশি সময় নিন, কিন্তু আলোচনার মাধ্যমেই বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিন। নীরবতা এড়িয়ে চলুন।
২. সম্মান বজায় রাখুন:
এক সময়ে যাকে ভালোবেসেছিলেন, তাকে অসম্মান করা উচিত নয়। সরাসরি কথা বলে নিজের সিদ্ধান্তের কথা জানান। ভুলেও হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ করে ব্রেকআপ করবেন না। এটি আপনার প্রাক্তন সঙ্গীর প্রতি অসম্মানজনক আচরণ।
৩. তাড়াহুড়ো করবেন না:
ব্রেকআপের কয়েকদিন পর বিবেক দংশনে ভুগলে মানসিক দিক থেকে আপনিই ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। তাই ব্রেকআপ করার আগে ভালোভাবে চিন্তা করুন। মাথা গরম করে হঠাৎ কোনো সিদ্ধান্ত নেবেন না। সময় নিয়ে ঠান্ডা মাথায় সব দিক বিবেচনা করুন।
৪. স্পষ্ট কারণ জানান:
আপনার সঙ্গী ঠিক কী কী কারণে এই বিচ্ছেদ চাইছেন, তা পরিষ্কারভাবে তাকে জানান। কোনো রকম ইগো ধরে রাখবেন না। দেখবেন, এতে ব্রেকআপ অনেক সহজ হয়ে যাবে এবং আপনার প্রাক্তন সঙ্গীও আপনার সিদ্ধান্ত বুঝতে পারবেন।
৫. দোষ চাপানো এড়িয়ে চলুন:
চটজলদি ব্রেকআপের জন্য সঙ্গীর উপর দোষ চাপানো উচিত হবে না। যদি আপনার কোনো ভুলের কারণে বিচ্ছেদ হচ্ছে, তাহলে তা স্বীকার করে নিন। নিজের ভুল স্বীকার করলে পরিস্থিতি অনেক সহজ হয়ে যায়।
৬. সৎ থাকুন:
নিজের কাছে সৎ থাকুন। মিথ্যে অজুহাত বা মিথ্যে কথা বলে ব্রেকআপ করা উচিত নয়। সততার সঙ্গে নিজের অনুভূতির কথা জানান। এতে আপনার সঙ্গী আপনার প্রতি বিশ্বাস হারাবেন না।
৭. বন্ধুত্ব বজায় রাখুন:
সম্ভব হলে আপনার প্রাক্তনের সঙ্গে বন্ধুত্ব বজায় রাখুন। দরকারে মাঝে মধ্যে শুভেচ্ছা বিনিময় করুন। দেখবেন, এতে দুজনেরই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসা অনেক সহজ হয়ে যাবে এবং তিক্ততাও কমবে।
তবে, সম্পর্কটা যদি টিকিয়ে রাখা সম্ভব হয় এবং এখনও যদি ভালোবাসা অনুভব করেন, তাহলে নতুন করে ভালোবাসার চেষ্টা করে দেখতে পারেন। হয়তো আলোচনার মাধ্যমে সম্পর্কের পুরনো উষ্ণতা ফিরিয়ে আনা সম্ভব।