বলিরেখাহীন, মসৃণ ত্বক কে না চায়? রিঙ্কল ফ্রি ত্বকের জন্য অনেকেই হয়তো বহু নামীদামী প্রসাধনী ব্যবহার করেছেন, কিন্তু আশানুরূপ ফল পাননি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রাসায়নিকযুক্ত (Chemicals) প্রসাধনীর ব্যবহার ত্বকের আরও ক্ষতি করতে পারে। তাই, ত্বককে সতেজ ও বলিরেখামুক্ত রাখতে ঘরোয়া পদ্ধতি ব্যবহার করাই শ্রেয়। এর কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও নেই। আজ আমরা আপনাদের জানাব মুখের বলিরেখা দূর করার দুটি সহজ ঘরোয়া টিপস:
প্রথম পদ্ধতি: ডিমের সাদা অংশের ব্যবহার
উপকরণ: একটি ডিমের সাদা অংশ।
ব্যবহার বিধি:
প্রথমে একটি ডিম ভেঙে সাদা অংশটি একটি পাত্রে আলাদা করে নিন।
এরপর আপনার মুখ ভালো করে ধুয়ে নিন।
একটি তুলোর বল বা ব্রাশের সাহায্যে ডিমের সাদা অংশটি পুরো মুখে ভালোভাবে লাগান।
প্রায় ৩০ মিনিট পর্যন্ত এটি মুখে শুকোতে দিন।
সময় হয়ে গেলে হালকা গরম জল দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।
ত্বককে টানটান রাখতে ও প্রাকৃতিক জেল্লা বজায় রাখতে এই পদ্ধতিটি অত্যন্ত কার্যকর। ভালো ফল পেতে সপ্তাহে প্রতিদিন এটি ব্যবহার করতে পারেন। যদি প্রতিদিন সম্ভব না হয়, তবে একদিন অন্তর একদিন ব্যবহার করুন। তবে, ডিম থেকে যদি আপনার কোনো অ্যালার্জি থাকে, তবে এই পদ্ধতিটি ব্যবহার করা উচিত নয়। সেক্ষেত্রে দ্বিতীয় পদ্ধতিটি আপনার জন্য উপযুক্ত।
দ্বিতীয় পদ্ধতি: রাইস ওয়াটার বা চাল ধোয়া জলের ব্যবহার
উপকরণ: পালিশ না করা চাল এবং জল।
ব্যবহার বিধি:
এক বাটি পালিশ না করা চাল নিয়ে পর্যাপ্ত পরিমাণে জলে ভিজিয়ে নিন।
হাত দিয়ে চাল ভালোভাবে নাড়তে থাকুন যতক্ষণ না জলটি সাদা, দুধের মতো রঙ ধারণ করে।
এবার এই চাল ধোয়া জল একটি পরিষ্কার পাত্রে ছেঁকে নিন এবং ফ্রিজে রেখে দিন।
প্রতিদিন একবার তুলোর বলের সাহায্যে এই জল টোনার হিসেবে আপনার মুখে ব্যবহার করুন।
এই চাল ধোয়া জল আপনি ৩-৪ দিন পর্যন্ত ব্যবহার করতে পারবেন। নিয়মিত ব্যবহারে এটি ত্বককে টানটান করে এবং উজ্জ্বলতা বজায় রাখতে সাহায্য করে।
এই দুটি সহজ ঘরোয়া পদ্ধতি অবলম্বন করে আপনি আপনার মুখের বলিরেখা কমাতে এবং ত্বককে আরও সুন্দর ও স্বাস্থ্যোজ্জ্বল করে তুলতে পারেন। রাসায়নিক প্রসাধনীর পরিবর্তে প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার ত্বকের জন্য অনেক বেশি নিরাপদ।