যাঁদের মেনোপজ় হয়ে গিয়েছে বা হওয়ার মুখোমুখি এসে দাঁড়িয়েছেন, তাঁদের ভ্যাজাইনার শুষ্কতা সংক্রান্ত একটা সমস্যা সত্যিই দেখা যায় এবং তার ফলে যৌন মিলন অত্যন্ত যন্ত্রণাদায়ক অভিজ্ঞতায় পর্যবসিত হয়ে পড়ে। কিন্তু যদি আপনার বয়স 40-এর কম হয় এবং তা সত্ত্বেও এই সমস্যায় ভোগেন, তা হলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞের সঙ্গে দেখা করুন। তবে তার আগে কয়েকটি বিষয় সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা তৈরি করে নেওয়া একান্ত প্রয়োজনীয়।
ভ্যাজাইনার শুষ্কতার সঙ্গে আপনার শরীরে উপস্থিত স্ত্রী হরমোনের সরাসরি যোগ আছে। স্ত্রী হরমোনের পরিমাণ কমতে আরম্ভ করলেই এ প্রবণতা মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। তবে বিশেষ বিশেষ ওষুধের, বিশেষ করে অ্যান্টি ডিপ্রেস্যান্টের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াতেও এমনটা হতে পারে। কিছু হরমোনাল জন্ম নিরোধক পিলও গোপনাঙ্গের পিচ্ছিলতা কমার কারণ। সদ্য মা হওয়ার পর, বিশেষ করে যে সব মা সন্তানকে স্তন্যপান করাচ্ছেন, তাঁদেরও এমন একটা সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা আছে। সেই সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্যের দিকটাও খেয়াল রাখতে হবে। আপনি যদি ডিপ্রেশন বা স্ট্রেসের কবলে থাকেন, তা হলে বাড়তে পারে ভ্যাজাইনার শুষ্কতা – তবে এ সব ক্ষেত্রে ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করলে নিশ্চিতভাবেই সুরাহার সন্ধান মিলবে। সাধারণত যোনিপথ পিচ্ছিল না হলে যৌনজীবনে সুখ থাকে না – তা ক্রমশ যন্ত্রণাদায়ক অভিজ্ঞতায় পর্যবসিত হয়। তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে লুব্রিক্যান্ট ব্যবহার করা যায়, ফোর প্লে-র জন্য বেশি সময় বরাদ্দ করতে পারেন, তাতে সমস্যার সুরাহা হওয়ার কথা। হরমোন রিপ্লেসমেন্ট থেরাপিও খুব কাজের – চিকিৎসা শুরু হলেই স্বাভাবিকতা ফিরতে আরম্ভ করে।
মনে রাখবেন, ভ্যাজাইনা শুষ্ক হওয়াটা মোটেই স্বাস্থ্যের লক্ষণ নয় এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তার সমাধান খুঁজে বের করার চেষ্টা করতে হবে আপনাকে। তা না হলে কিন্তু ভ্যাজাইনাল ফ্লোরায় অসঙ্গতি দেখা দেবে এবং থ্রাশ, ইউরিনারি ট্র্যাক্টের ইনফেকশন, ব্যাকটেরিয়াল ভ্যাজাইনোসিসের মতো সমস্যা আক্রমণ করবে বারবার। তাই সময় থাকতে সাবধান হোন।