পাকা চুল ঢাকতে অনেকেই চুল কালো বা অন্য পছন্দের রঙে রাঙাতে চান। তবে সঠিক রং নির্বাচন করা নিয়ে অনেকেই দ্বিধায় ভোগেন। হাতের কাছে সহজ উপায় বলতে মূলত দুটিই – হেনা বা মেহেন্দি এবং বাজারের বিভিন্ন হেয়ার কালার বা চুলের রং।
একেক জনের চুলের ধরন ও পছন্দের উপর নির্ভর করে, কোনটি ব্যবহার করা উচিত। কারো জন্য চুলের রং ভালো, আবার কারো জন্য মেহেন্দি। আপনার জন্য কোনটি সেরা? এই দুটি উপাদানের সুবিধা এবং অসুবিধাগুলো জেনে নিন, যা আপনাকে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করবে।
মেহেদির সুবিধা:
মেয়েদের চুলের পরিচর্যায় মেহেদি বা হেনা দীর্ঘকাল ধরে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। চুলে স্বাভাবিক কালো রং ফিরিয়ে আনতে হেনা মাখার প্রচলন বহুদিনের।
চুলকে সুস্থ ও মজবুত করতেও হেনা অত্যন্ত কার্যকর। এটি চুলের গোড়া শক্ত করে এবং চুল পড়া কমাতে সাহায্য করে।
হেনা চুলে একটি প্রাকৃতিক ঔজ্জ্বল্য এনে দেয়, যা চুলকে আরও আকর্ষণীয় করে তোলে।
ভালো মানের হেনার রং সহজে উঠে যায় না এবং দীর্ঘস্থায়ী হয়।
মেহেদির অসুবিধা:
চুলে বিভিন্ন ধরনের ফ্যাশনেবল রং করতে চাইলে হেনা ব্যবহার করা সম্ভব নয়। হেনার রং মূলত লালচে-বাদামী বা কালো হয়ে থাকে।
যদি কালো হেনা জাতীয় জিনিস ব্যবহার করেন, তবে তাতে প্রাকৃতিক গুণ নাও থাকতে পারে এবং কিছু ক্ষেত্রে তা চুলের ক্ষতিও করতে পারে।
নিয়মিত হেনা ব্যবহার করলে কারো কারো চুল শুষ্ক হয়ে যেতে পারে। তাই ব্যবহারের পর চুলে তেল দেওয়া জরুরি।
প্যাকেটের রঙের সুবিধা:
ইচ্ছামতো বিভিন্ন ফ্যাশনেবল রঙে চুল রাঙানোর জন্য কেমিক্যাল ডাই বা প্যাকেটের রং খুবই সুবিধাজনক।
হেনা ব্যবহারের চেয়ে কেমিক্যাল ডাই লাগানো অনেক সহজ এবং কম সময়সাপেক্ষ।
বাজারে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের নানা ধরনের কালার পাওয়া যায়, যা ব্যবহারকারীকে পছন্দের রং বেছে নেওয়ার সুযোগ দেয়।
প্যাকেটের রঙের অসুবিধা:
কেমিক্যাল ডাই থেকে নানা রকম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া অথবা অ্যালার্জি হতে পারে, যেমন – ত্বকে চুলকানি, লালচে ভাব বা জ্বালা অনুভব করা।
ঘন ঘন চুলের রং ব্যবহার করলে চুলের কিউটিকল ভেঙে যেতে পারে, যার ফলে চুলের মান খারাপ হতে শুরু করে এবং চুল রুক্ষ ও দুর্বল হয়ে পড়ে।
কেমিক্যাল ডাই ব্যবহার করলে হেনার তুলনায় খরচও বেশি হতে পারে।
আপনার ব্যক্তিগত পছন্দ এবং চুলের ধরনের উপর নির্ভর করে, আপনি চুলে মেহেদি ব্যবহার করবেন নাকি রং করবেন, সেই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। তবে মনে রাখবেন, আপাতভাবে যা আপনার পছন্দ, তাতে কোনো রকম ত্বকের সমস্যা হতে পারে। তাই এই দুটির মধ্যে যেকোনো একটি ব্যবহার করার আগে অবশ্যই একজন ত্বক বিশেষজ্ঞ বা চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। তারা আপনার চুলের ধরন এবং ত্বকের সংবেদনশীলতা বিবেচনা করে সঠিক পরামর্শ দিতে পারবেন।