সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে হলে দিনের প্রতিটি বেলায় সঠিক সময়ে ও সঠিক পরিমাণে খাবার গ্রহণ করা অপরিহার্য। চিকিৎসকরা বিশেষ করে দুপুরের খাবারের উপর জোর দিয়েছেন। তাদের মতে, দিনের এই সময়ের খাবার আমাদের শারীরিক ও মানসিক কর্মক্ষমতা বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দুপুরে খাবার খাওয়ার একটি নির্দিষ্ট সময় মেনে চলা উচিত। এর পাশাপাশি খাবারের উপাদান নির্বাচনেও সচেতন থাকা প্রয়োজন। কার্বোহাইড্রেট বা শর্করা আমাদের শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় শক্তি যোগায়, তবে তা অবশ্যই পরিমিত হতে হবে। একেবারে কার্বোহাইড্রেট বাদ দিলে মাথা ঝিমঝিম করা এবং শরীরে দুর্বলতা অনুভূত হতে পারে। আবার, ওজন কমানোর ভুল ধারণায় অনেকেই সকালে না খেয়ে দুপুরে একসঙ্গে বেশি পরিমাণে খাবার খান, যা স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর।
চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী, দুপুরের খাবারে কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ কম রাখা ভালো, তবে তা একেবারে বাদ দেওয়া উচিত নয়। মস্তিষ্কের কার্যকারিতা এবং শরীরের কর্মোদ্যম বজায় রাখতে অল্প পরিমাণে হলেও কার্বোহাইড্রেট থাকা প্রয়োজন। এক্ষেত্রে খাবারের থালায় এক চতুর্থাংশ শর্করা, এক চতুর্থাংশ প্রোটিন এবং অর্ধেক শাকসবজি রাখার কথা বলা হয়েছে।
অন্যদিকে, জল পান করার ক্ষেত্রেও সঠিক নিয়ম মেনে চলা জরুরি। খাবার গ্রহণের অন্তত ২০ মিনিট পর জল পান করা উচিত। জল আমাদের শরীরকে সতেজ রাখে এবং হজমক্ষমতাকে উন্নত করে। খাবার খাওয়ার সময় জল পান করলে পেটের বিভিন্ন সমস্যা, এমনকি আলসার পর্যন্ত হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন চিকিৎসকরা।
এছাড়াও, শরীরে সঠিক পরিমাণে চর্বির যোগান দেওয়াও প্রয়োজন। এর জন্য বাদাম এবং বীজ জাতীয় খাবার দুপুরের খাবারের তালিকায় যোগ করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
পরিশেষে বলা যায়, একটি সুস্থ ও কর্মক্ষম জীবন পেতে দুপুরের খাবারের সঠিক সময় নির্ধারণ এবং স্বাস্থ্যকর খাবার নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই চিকিৎসকদের পরামর্শ মেনে চলুন এবং একটি সুন্দর জীবন উপভোগ করুন।