দীর্ঘদিন ধরে সম্পর্কে একঘেয়েমি? তাহলে উষ্ণতা ফেরাবেন যেভাবে, জেনেনিন

যে কোনও সম্পর্ক তৈরি করতে অনেক সময় জটিলতা পোহাতে হয়। কিন্তু বেশিরভাগ মানুষই হয়তো জানেন না, সম্পর্কে যাওয়ার পর শুরু হয় আসল চ্যালেঞ্জ। সম্পর্ক তৈরির চেয়েও তা টিকিয়ে রাখা বেশি কঠিন। এক্ষেত্রে মানুষকে নানা ধরনের প্রতিকূলতা পার করে সম্পর্ককে এগিয়ে নিয়ে যেতে হয়। দুটি মানুষ পরস্পরের সঙ্গে মিলে মিশেই এই চ্যালেঞ্জ নিতে পারেন।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সম্পর্কের শুরুর সময়টা হল দারুণ মজার। এই সময়টা দ্রুত কেটে যায়। মানুষ এই সময়ে নিজেদের জানতে শুরু করেন। সম্পর্ক যত পুরনো হতে থাকে, তত বেশি সমস্যা দেখা যায়, একঘেয়েমি চলে আসে। এক্ষেত্রে প্রথমের দিনগুলিতে যেই আনন্দ ছিল, তা আর থাকে না।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যে কোনও সম্পর্কে এক সময় একঘেয়ে  লাগতে পারে। ভালোবাসার ক্ষেত্রে আসতে পারে, আসতে পারে দাম্পত্যে। সম্পর্কে এমন কোনও মুহূর্ত তখনই ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। তা না হলে সেই সম্পর্ক ডুবে যেতে বেশি সময় লাগবে না।

বিশেষজ্ঞদের কথায়, কোনও কোনও ক্ষেত্রে সম্পর্ককে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া বড্ড কঠিন একটি কাজ। এক্ষেত্রে সম্পর্ক কিছুটা দূর এগনোর পরই দেখা দেয় মস্ত সমস্যা। তাই  সকলেরই এই দিকটায় বিশেষ নজর দিতে হবে।

সম্পর্কে হারানো উষ্ণতা পেলাতে কিছু বিষয় অনুসরণ করতে পারেন। যেমন-

একে অপরের প্রশংসা করুন : প্রশংসা যে কোনও মানুষ ভালোবাসে। তাই আপনার সঙ্গীকে খুশি রাখতে চাইলে তার প্রশংসা করুন। এই প্রশংসার মাধ্যমেই তার সম্পর্কে নতুন করে আগ্রহ তৈরি হবে। তখন সহজেই আপনারা ভালো থাকতে পারবেন। আর অবশ্যই প্রশংসা করার জন্য বড় কোনও কারণ খুঁজতে যাবেন না। ছোট ছোট কারণেও করুন প্রশংসা।

ক্ষমা করতে শিখুন : ক্ষমাই পৃথিবীর সবথেকে বড় ধর্ম। ক্ষমা করলে নিজের ভিতরে পাওয়া যায় এক দারুণ অনুভূতি। আর যাকে ক্ষমা করলেন তিনিও খুশী থাকেন। মনে রাখবেন, ভুল যে কোনও মানুষের হতে পারে। তবে এক্ষেত্রে ক্ষমা করে দেওয়াটাই হল বুদ্ধিমানের কাজ।

বারবার এক কথা বলতে যাবেন না : একই কথা বার বার বলা ঠিক নয়। আপনার সঙ্গীরও এই অভ্যাস থাকলে তাকেও এমন করতে নিষেধ করুন।

সময় বের করুন
 : আজকাল ব্যস্ততার কারণে অনেক সম্পর্ক নষ্ট হয়ে যায়। ব্যস্ততা থাকবেই। তার মধ্য থেকেও বের করতে হবে সময়। নিজেদের সময় দিতে হবে। সময় না দিলে কোনো সম্পর্কই ভালো থাকে না।

বুঝিয়ে বলুন 
: কোনও সমস্যা থাকলে রাগারাগি করা যাবে না। রাগারাগি কোনও কিছুর সমাধান নয়। বরং বুঝিয়ে বলুন সমস্যার কথা। তবেই হবে সমস্যার সমাধান।

সমস্যা শুনুন মন দিয়ে 
: সমস্যা শুনে শুধুই উপদেশ দেওয়া নয়৷ বরং, তার কাছে বসে মন দিয়ে সমস্যা শুনুন৷ মাঝে মাঝে সঙ্গীর সমস্যা মন দিয়ে শুনলেও একে অপরের প্রতি আস্থা বেড়ে ওঠে৷

অতিরিক্ত অধিকারবোধ নয় : প্রেম বা বিয়ে সব ক্ষেত্রেই সঙ্গীকে অযথা নিয়মকানুনে বেঁধে ফেলবেন না। তিনি নিজের বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটাতে চাইলে বাধা দেবেন না। অযথা তার উপর বেশি অধিকারবোধ খাটাতে গেলে সম্পর্ক জটিলতা তৈরি হবে।bs

Related Posts

© 2024 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy