আপনি কি সন্তানের ওপর রেগে যাচ্ছেন? তাহলে সামলাবেন যেভাবে, জেনেনিন

বাড়িতে সন্তান থাকলে একটু দুষ্টুমি তো করবেই। এজন্য কি আপনি রেগে যাবেন। সন্তান লালনপালনে হরহামেশাই এরকম হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে বাবা-মায়ের রাগ নিয়ন্ত্রণ করা উচিত। কারণ অনেক সময়ে রাগ ও জেদের বশে বাবা-মায়েরা এমন কথা বলে বসেন, যাতে ক্ষতি হতে পারে সন্তানেরই। আসুন জেনে নেই যেভাবে নিজেকে সামলাবেন-

১. সন্তান যতই চঞ্চল হোক, অভিভাবকদের ধৈর্য ধরতেই হবে।  শিশুর রাগ-অভিমান কমাতে গিয়ে নিজেরা রাগারাগি করলে চলবে না। সন্তান রাগ করার মতো কিছু করলেও, সঙ্গে সঙ্গে তাকে বকাঝকা করলে সমস্যা আরও জটিল হয়ে যেতে পারে। বরং নিজে শান্ত হওয়ার পর কথা বলুন সন্তানের সঙ্গে।

২. অনেক সময় শিশু কী বলতে চাইছে তা শুনতে চান না বাবা-মা।  এই আচরণ শিশুর মধ্যে নিতবাচক প্রভাব ফেলে। সন্তানের কথা শুনুন মন দিয়ে। শিশুদের যুক্তিবোধ বড়দের মতো না হওয়াই স্বাভাবিক। তাই তাদের পক্ষে সব কিছু বুঝিয়ে বলা কঠিন। শিশু কিছু বলতে চাইলে, তাকে ধীরে ধীরে বুঝিয়ে বলার সুযোগ দিন। অল্প অল্প করে বললেও রাগ, দুঃখ, অভিমানের সব কথা শুনুন মন দিয়ে।

৩. সংবেদনশীলতাই আসল চাবিকাঠি। কেন শিশু রাগ করার মতো কাজ করছে তা বোঝার চেষ্টা করুন। সন্তান অবুঝ হলেও বাবা-মা অস্থির হলে চলবে না। পাশাপাশি, সন্তানকেও দিতে হবে সহানুভুতির শিক্ষা।

৪. অনেক সময়ে ঝক্কি এড়াতে সন্তানের অন্যায় আবদার মেনে নেন বাবা-মা। কিন্তু এতে সমস্যা বাড়ে। কাজেই অযথা সন্তানের অন্যায় আবদারে প্রশ্রয় দেবেন না। সন্তানের রাগ ও দুর্ব্যবহারও মেনে নেবেন না। শান্ত হয়ে, ধীরে ধীরে সন্তানকে সব কিছু বুঝিয়ে বলুন।

৫. বাবা-মায়ের দৈনন্দিন আচার ব্যবহারের ছাপ সরাসরি সন্তানের উপর পড়ে অনেক সময়। কাজেই অভিভাবক যদি বদমেজাজি হন, তবে তার প্রভাব পড়তে পারে সন্তানের উপরেও। এ কারণে বাবা-মাকে নিজেদের নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। বিশেষ করে বাবা-মায়ের পারস্পরিক সম্পর্কের টানাপোড়েনের আঁচ সন্তানের উপর পড়লে তার প্রভাব হয় দীর্ঘস্থায়ী। কাজেই সন্তানের সামনে ঝগড়া করার আগে সতর্ক হতে হবে।bs

Related Posts

© 2025 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy