গরমকালে শরীরকে ঠান্ডা ও সতেজ রাখতে টক দইয়ের জুড়ি মেলা ভার। স্বাস্থ্য সচেতন অনেকেই এই সময় খাদ্যতালিকায় টক দই যোগ করার পরামর্শ দেন। দইয়ের মধ্যে প্রোটিন, ভিটামিন, প্রোবায়োটিক এবং বিভিন্ন উপকারী খনিজ উপাদান বিদ্যমান। এটি যেমন হাড় মজবুত করতে সাহায্য করে, তেমনই পেটের স্বাস্থ্য উন্নতিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তবে ওজন বৃদ্ধি বা রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যাওয়ার ভয়ে অনেকেই চিনি ছাড়া টক দই খাওয়ার পরামর্শ দেন।
কিন্তু সম্প্রতি এক নতুন তথ্য সামনে এসেছে যা হয়তো অনেকেরই অজানা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, টক দইয়ে সামান্য চিনি মিশিয়ে নিলে তার স্বাস্থ্যগুণ বহুগুণে বেড়ে যায়! শুনে অবাক লাগলেও এর পেছনে যথেষ্ট কারণ রয়েছে।
১. প্রোবায়োটিকের কার্যকারিতা বৃদ্ধি: দই একটি প্রোবায়োটিক সমৃদ্ধ খাবার, যা আমাদের অন্ত্রের জন্য অত্যন্ত উপকারী। যখন টক দইয়ের সঙ্গে সামান্য চিনি মেশানো হয়, তখন তা প্রোবায়োটিকের কার্যকারিতা আরও বাড়িয়ে তোলে। এই মিশ্রণ শরীরে ফ্রি রেডিক্যালের ভারসাম্য বজায় রাখতে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সহায়ক। এছাড়াও, এটি বিভিন্ন সংক্রমণজনিত রোগ নিয়ন্ত্রণেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
২. অম্লতা হ্রাস ও হজমে সুবিধা: টক দইয়ের স্বাভাবিক স্বাদ কিছুটা অম্লযুক্ত হওয়ায় সকালে খালি পেটে এটি খেলে অনেকেরই দাঁতে শিরশিরানি অনুভব হতে পারে। এমনকি, কারো কারো ক্ষেত্রে অম্বলের সমস্যাও দেখা দিতে পারে। তবে ঘরোয়া টোটকা অনুযায়ী, এই টক দইয়ের সঙ্গে সামান্য চিনি মিশিয়ে নিলে সেই অম্লভাব কমে যায় এবং এটি হজমের জন্য আরও সহজ হয়ে ওঠে।
সুতরাং, যারা এতদিন ওজন বা শর্করার ভয়ে টক দই থেকে দূরে থেকেছেন অথবা চিনি ছাড়া টক দই খেতে অভ্যস্ত, তারা হয়তো এই নতুন তথ্য জানার পর সামান্য চিনি যোগ করে দইয়ের উপকারিতা আরও বেশি করে পেতে পারেন। তবে অবশ্যই মনে রাখতে হবে, চিনি মেশানোর পরিমাণ যেন অতিরিক্ত না হয়। পরিমিত চিনি ব্যবহারের মাধ্যমেই টক দইয়ের স্বাস্থ্যগুণ বৃদ্ধি করা সম্ভব।