বাঙালি বাড়িতে ভাত রান্না হলে অনেক সময় কিছুটা বেঁচে যাওয়া স্বাভাবিক। সেই বেঁচে যাওয়া ভাত কেউ ফেলে দেন, কেউ সকালে ঠান্ডা বা গরম করে খান, আবার অনেকেই জল দিয়ে পান্তা বানিয়ে খান। ফ্রিজেও অনেকেই বাসি ভাত সংরক্ষণ করে রাখেন।
তবে জানেন কি, বাসি ভাত খাওয়ার আগে কিছু নিয়ম মেনে চলা জরুরি? ভুল পদ্ধতিতে গরম করলে তা পেটে সংক্রমণের কারণ হতে পারে। তাই পুরনো ভাত খাওয়ার সময় কীভাবে সঠিকভাবে গরম করা উচিত, তা জেনে নিন:
মাইক্রোওয়েভে গরম করার নিয়ম: মাইক্রোওয়েভে বাসি ভাত গরম করতে হলে প্রথমে ওভেনের উপযোগী একটি পাত্রে ভাত নিন। ফ্রিজে রাখা ভাত জমাট বেঁধে গেলে চামচ দিয়ে হালকাভাবে ভেঙে নিন। এরপর প্রতি এক কাপ ভাতের জন্য এক টেবিল চামচ জল মেশান। জল মেশানো হয়ে গেলে পাত্রটি ঢাকনা দিয়ে মাইক্রোওয়েভে সর্বোচ্চ তাপমাত্রায় ২ মিনিটের জন্য গরম করুন।
গ্যাসে গরম করার নিয়ম: গ্যাসে বাসি ভাত গরম করতে হলে একটি পাত্রে ভাত নিন। প্রতি কাপ ভাতের জন্য এক টেবিল চামচ জল যোগ করুন। যদি জল ব্যবহার করতে না চান, তবে সামান্য মাখন ব্যবহার করতে পারেন। এরপর পাত্রটি ঢাকনা দিয়ে মাঝারি আঁচে প্রায় পাঁচ মিনিট গরম করুন। খেয়াল রাখবেন, ভাত যেন পাত্রের তলায় লেগে না যায়।
বাসি ভাতের ফ্রায়েড রাইস: বাসি ভাতকে শুধু গরম না করে সুস্বাদু ফ্রায়েড রাইসও বানিয়ে নেওয়া যেতে পারে। এর জন্য ডিম, পেঁয়াজ, কাঁচামরিচ, গাজর ও বিনসের মতো সবজি লাগবে। একটি পাত্রে এক টেবিল চামচ তেল গরম করে তাতে ডিম ফাটিয়ে ভেজে তুলে নিন। এরপর পাত্রে পেঁয়াজ, কাঁচামরিচ, গাজর ও বিনস দিয়ে ভালোভাবে ভাজুন। সবজি ভাজা হয়ে গেলে তাতে বাসি ভাত দিয়ে মিশিয়ে নিন এবং কিছুক্ষণ নাড়াচাড়া করুন। সব উপকরণ ভালোভাবে ভাজা ভাজা হয়ে গেলে ঢাকনা দিয়ে কিছুক্ষণ রেখে গরম গরম পরিবেশন করুন।
বাসি ভাত খাওয়ার সময় এই নিয়মগুলো মেনে চললে তা যেমন সুস্বাদু হবে, তেমনই পেটের সংক্রমণ বা অন্যান্য স্বাস্থ্যঝুঁকিও এড়ানো যাবে।