বাড়িতে একটি শিশু থাকা মানেই সারা ঘরে খুশির জোয়ার বয়ে যাওয়া। পরিবারের সদস্যদের আনন্দ দ্বিগুণ বাড়িয়ে দেয় ঘরে থাকা ছোট্ট শিশুটি। আর মা-বাবা দুজনেই যদি কর্মরত হন, তবে তো কথাই নেই! সেই ঘরে বাচ্চার আদর চারগুণ বেড়ে যায়। বাচ্চা যখন যা আবদার করে মা-বাবা তাই সামনে এনে হাজির করেন। শাসন কী জিনিস, বাচ্চা তার কিছুই বুঝে না।
ছোট বয়সে সব ঠিক থাকলেও, সমস্যাটা একটু বড় হতে বোঝা যায়। বাচ্চা যখন বিগড়ে যেতে শুরু করে, তখন বাড়ির লোক বোঝেন কী ভুলটাই না করেছেন। আপনিও যদি এমন করে চলেন তাহলে তা বন্ধ করুন। বাচ্চাকে সঠিক ভাবে মানুষ করাটা বেশি দরকার। তাই তাকে সঠিক আচার আচরন শেখান। আজকাল সব মা-বাবারা বাচ্চাকে কয়েকটি ভদ্রতা শেখাতে ভুলে যান। যা মোটেও সঠিক নয়। বাচ্চাকে অবশ্যই নিচের পাঁচটি আদবকায়দা শেখাতে ভুলবেন না-
>> অন্যের কথা শুনতে শেখান। অনেক বাচ্চাই প্রচুর কথা বলে, অন্যের কথা শোনে না। সব সময় আলাপচারিতা যে দু পক্ষের হয়, তা শিক্ষা দিন।
>> বাচ্চাকে অন্যের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে শেখান। একা বড় হওয়ার জন্য অনেক বেশি লজ্জা ভাব দেখা যায়। এটা দূর করানো অভিভাবকের কাজ। তা না হলে, সব ক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়বে। এক্ষেত্রে, কারও সঙ্গে দেখা হলে, কীভাবে কথা শুরু করবে সেই শিক্ষা দিন। বাকিটা সে নিজে শিখে যাবে।
>> বাচ্চাকে ধন্যবাদ জ্ঞাপনের শিক্ষাদিন। কেউ কিছু উপহার দিলে, বা কোনো কিছু সাহায্য করলে ধন্যবাদ বলতে বলুন। এই ভদ্রতা ছোট থেকে শেখা খুবই দরকার।
>> পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলে মাসে দুবার রেস্তোরাঁ, বন্ধু বা পরিজনদের সঙ্গে গেট টুগেদারের আয়োজন হয়ে থাকে। এমন জায়গায় কেমন আচরণ করা উচিত তার শিক্ষা দিন।
>> আজকাল সবাই ফোনের ওপর ভরসা করেন। তা কারও খবর নিতে হোক কিংবা জরুরি কাজে। বাচ্চাদের হাতেও ছোট থেকেই মোবাইল রয়েছে। এই ফোনে কীভাবে কথা বলতে হয় বাচ্চাকে শেখান। কেউ ফোন করলে কেমন করে উত্তর দিতে হয়, কিংবা নিজে কোথাও ফোন করলে কীভাবে কোন টোনে কথা বলতে হয়, শিক্ষা দিন। এটাও একটা ম্যানার্সের মধ্যে পড়ে।