পিঠের ব্যথা কমানোর সহজ কৌশল এখনই জেনে নিন

একভাবে বসে কাজ করছেন তো করছেন, হঠাৎ মুখ থেকে বেরিয়ে এলো উহ্‌ ব্যথা। এই ব্যথা কিন্তু হাতে-পায়ে নয় পিঠে। এমনটাই অনেকের ক্ষেত্রে ঘটে থাকে। এই ব্যথা যেমন কষ্ট দেয় তেমনি কাজের গতিও কমিয়ে দেয়।

আসলে সারাদিনের ব্যস্ততায় পিঠ বা মেরুদণ্ডকে সুস্থ রাখার জন্য যেসব ব্যায়াম বা শরীরচর্চা প্রয়োজন সেসব করা সম্ভব হয়ে উঠে না। যার ফলে সারাদিন চেয়ারে বসার অভ্যাস ডেকে আনছে নানা রোগব্যাধি।

পিঠে যেসব পেশি, লিগামেন্ট থাকে সেসবে তো বটেই, সঙ্গে শিড়দাঁড়ার নানা সমস্যা ডেকে আনে এই স্বভাব। এর জন্য ঘরোয়া কিছু কৌশল বা উপায় মেনে চলতে পারেন। যা আপনার কষ্ট লাঘব করবে।

জেনে নিন কৌশলগুলো :

শরীরচর্চা

কঠিন ব্যায়ামই করতে হবে এমন নয়। কাজ করা অবস্থায় আপনি এটি করতে পারেন। হাত উপরে তোলা, ধীরে ধীরে নামানো। হাঁটু সোজা রেখে দু’হাত না ভেঙে পায়ের বুড়ো আঙুল ছোঁয়া এমন কিছু সাধারণ মানের ব্যায়াম এ ক্ষেত্রে খুবই উপকারী।

অভ্যাস পরিবর্তন করুন

একভাবে চেয়ারে বসে থাকবেন না। মাঝে মাঝেই উঠুন। অফিসের ফাঁকা জায়গায় একটু হেঁটে আসুন। তা একান্ত না পারলে সিঁড়ি দিয়ে ওঠা-নামা করে আসুন কয়েকবার। চেয়ারে বসার সময় পিঠ সোজা রাখুন। ঝুঁকে বা কুঁজো হয়ে বসবেন না। খেয়াল রাখবেন চেয়ারের উচ্চতা এমন হবে যাতে পায়ের সম্পূর্ণ পাতা মাটিতে থাকে।

বরফ সেঁক

বরফ সেঁকে এই ধরনের ব্যথা অনেকটা আয়ত্তে থাকে। দিনে দু’-তিন বার আইস প্যাক ব্যথার জায়গায় দিন। ১০ থেকে ১২ মিনিট রাখুন। আরাম পাবেন।

ঘুমের সময়

ঘুমের ঘাটতি কোনক্রমে রাখা যাবে না। তাই ঘুমের জন্য প্রতিদিন রাখতে হবে কমপক্ষে ছয় থেকে সাত ঘণ্টা।

জুতার ব্যবহার

পায়ের জুতা থেকেও অনেক সময় এই ব্যথা হতে পারে। এ ক্ষেত্রে জুতা বদলাতে হয়। হিল পরলে বা পায়ে আরামদায়ক নয় এমন জুতা বাদ দিন। কাজের ফাঁকে জুতা খুলে পরে আবার পড়ে নিতে পারেন। অথবা কাজের সময় স্লিপার বা স্যান্ডেল ব্যবহার করতে পারেন

Related Posts

© 2025 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy