মধু এমন একটি প্রাকৃতিক উপাদান, যা কেবল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাই বাড়ায় না, রূপচর্চাতেও দারুণ কার্যকরী। আদিকাল থেকেই ত্বকের বিভিন্ন সমস্যার সমাধানে মধ্য ব্যবহার হয়ে আসছে। বর্তমানেও রূপচর্চাতে মধু ব্যবহার করেন অনেকেই।
তবে জেনে অবাক হবেন যে, ত্বকের মতো মধু ব্যবহারে চুলেরও অনেক উপকার হয়ে থাকে। মধুর কিছু পুষ্টিগুণ আছে যা চুলের যত্নে তুলনীয়। চলুন তবে জেনে নেয়া যাক কীভাবে চুলের যত্নে মধু ব্যবহার করবেন-
>> চুল হাইলাইট করা বর্তমান ফ্যাশনে দারুণ জনপ্রিয়। তবে রাসায়নিক রং চুলের ক্ষতি করতে পারে এই ভয়ে অনেকেই চুলে রং এড়িয়ে চলেন। তবে মধুর বিশেষ কিছু উপাদান আছে যা ধীরে ধীরে চুলের রং হালকা করতে সাহায্য করে। অর্থাৎ প্রাকৃতিকভাবে চুল হাইলাইটস করার জন্য দারুণ কার্যকর মধু।
>> এক মগ জলে আধা কাপ মধু মিশিয়ে তৈরি করে নিন প্রাকৃতিক কন্ডিশনার। শ্যাম্পু করার পর চুল আলতো করে মুছে নিন। তারপর এই মিশ্রণ দিয়ে চুল ধুয়ে নিন। এরপর চুলে আর জল লাগাবেন না। দেখবেন চুল হয়েছে নরম, আর ঝকঝকে।
>> অলিভ অয়েলের সঙ্গে মধু মিশিয়ে হেয়ার প্যাক তৈরি করতে পারেন। দুই চামচ এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল গরম করুন। তাতে দিন দুই টেবিল চামচ মধু। এবার এই মিশ্রণ দিয়ে চুল ভালো করে ম্যাসাজ করে নিন। তারপর ১০ মিনিট রেখে ধুয়ে নিন। তবে এটি স্ক্যাল্পে না লাগানোই ভালো।
>> দুটি ডিম ভেঙে অল্প ফেটিয়ে নিন। তাতে দুই টেবিল চামচ মধু যোগ করে আবার ভালো করে ফেটান। চুল ভালো করে আঁচড়ে নিয়ে তা কয়েকটা ছোট ছোট সেকশনে ভাগ করে নিন। তারপর হেয়ার ব্রাশের সাহায্যে পুরো হেয়ার প্যাকটা চুল ও স্ক্যাল্পে লাগিয়ে নিন। ২০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন।
>> চুল কোমল করতে ব্যবহার করুন মধু আর টক দইয়ের সাহায্যে বানানো হেয়ার প্যাক। এটি চুলের আদ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে। তাই চুল রুক্ষ দেখাবে না একেবারেই। আধা কাপ টক দইয়ে সিকি কাপ মধু মেশান। এই মিশ্রণটা ২০ মিনিট লাগিয়ে রাখুন চুলে। দেখবেন যখন শুকিয়ে এসেছে, তখন শ্যাম্পু করে নিন।