ওজন কমানো থেকে শুরু করে শরীরের নানান উপকার করে গ্রিন টি। তবে কেবল স্বাস্থ্যই নয়, ত্বকের যত্নেও এই পানীয়টি অসাধারণ কাজ দেয়। সাধারণত গ্রিন টি তৈরির পর ব্যবহৃত চা পাতা আমরা ফেলে দিই। কিন্তু আপনি কি জানেন, এই ফেলে দেওয়া চা পাতাই আপনার ত্বকের একাধিক সমস্যা সমাধানে সহায়ক হতে পারে?
আসুন জেনে নেওয়া যাক, ত্বকের যত্নে ব্যবহৃত গ্রিন টি কীভাবে ব্যবহার করবেন এবং এর উপকারিতা:
১. প্রাকৃতিক স্ক্রাব:
গ্রিন টি থেকে চা বানানোর পর, বেঁচে যাওয়া চা পাতা সামান্য চিনি মিশিয়ে প্রাকৃতিক স্ক্রাব হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। এই স্ক্রাব ত্বকের মৃত কোষ দূর করতে সাহায্য করে, ফলে ত্বক হয় মসৃণ ও উজ্জ্বল। এছাড়াও, গ্রিন টি-এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বলিরেখা কমাতে এবং ত্বক টানটান রাখতেও সহায়ক। সপ্তাহে একবার বা দুইবার এই স্ক্রাব ব্যবহার করতে পারেন।
২. উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিকারী ফেস মাস্ক:
ব্যবহৃত গ্রিন টি-এর পাতার সঙ্গে সামান্য দই, মধু ও হলুদ মিশিয়ে একটি ঘন পেস্ট তৈরি করুন। এই পেস্ট মুখে লাগিয়ে ১৫ মিনিট রেখে দিন। তারপর হালকা গরম জল দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এই ফেস মাস্কটি কেবল আপনার মুখের ত্বক পরিষ্কার ও উজ্জ্বলই করবে না, পাশাপাশি ত্বকের দাগ কমাতেও সাহায্য করবে।
৩. চোখের ফোলাভাব কমায়:
সারা দিনের কাজের চাপ এবং দৌড়াদৌড়ির কারণে দিনের শেষে স্ট্রেস ও ক্লান্তি ত্বককে নিস্তেজ ও প্রাণহীন করে তোলে এবং মুখের ফোলাভাব দেখা দেয়। ঘুম থেকে উঠলেও অনেক সময় মুখ ফোলা ফোলা লাগে। এক্ষেত্রে ব্যবহৃত গ্রিন টি ব্যাগ দারুণ কাজ দিতে পারে। গ্রিন টি ব্যাগ কিছুক্ষণ ভিজিয়ে ফ্রিজে রাখুন, তারপর ঠান্ডা টি ব্যাগ দিয়ে আলতো হাতে মুখে ম্যাসাজ করুন। নিয়মিত ম্যাসাজ করলে মুখের ফোলাভাব দ্রুত কমবে।
৪. ডার্ক সার্কেল দূর করে:
চোখের নিচের ডার্ক সার্কেল একটি সাধারণ সমস্যা। ব্যবহৃত গ্রিন টি ব্যাগ এই সমস্যা সমাধানেও সহায়ক হতে পারে। টি ব্যাগ কিছুক্ষণ ফ্রিজে রেখে ঠান্ডা করুন। তারপর এই ঠান্ডা টি ব্যাগ চোখের উপর ১০-১৫ মিনিট রাখুন। এতে চোখের ফোলাভাব কমার পাশাপাশি ডার্ক সার্কেলও ধীরে ধীরে দূর হবে।
সুতরাং, পরের বার গ্রিন টি বানানোর পর ব্যবহৃত পাতা ফেলে না দিয়ে ত্বকের যত্নে কাজে লাগান এবং পান প্রাকৃতিক সৌন্দর্য!