ভাতের পাশাপাশি রুটি আমাদের দৈনন্দিন খাদ্য তালিকায় একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান অধিকার করে। অনেকেই দিনের একবেলা, বিশেষত সকালের নাস্তায় রুটি খেতে পছন্দ করেন। গমের আটা দিয়ে তৈরি এই খাবারটি জটিল শর্করা ও প্রোটিনের একটি চমৎকার উৎস। তবে জানেন কি, কিছু সাধারণ উপকরণ যোগ করে রুটির পুষ্টিগুণ আরও কয়েকগুণ বাড়িয়ে তোলা সম্ভব? আসুন, জেনে নেওয়া যাক সেই উপাদানগুলো সম্পর্কে-
১. হলুদ:
হলুদের মধ্যে থাকা কারকিউমিন নামক উপাদানটি তার প্রদাহনাশক ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট गुणोंর জন্য সুপরিচিত। প্রতি কাপ আটার সাথে এক চা চামচ হলুদ মেশালে রুটিতে একটি সুন্দর সোনালী রং আসে এবং এর স্বাদও সামান্য উষ্ণ হয়। এই হলুদ মেশানো রুটি বাত, হজমের সমস্যা, বিষণ্ণতা এবং অ্যালার্জির মতো সমস্যা সমাধানে সাহায্য করতে পারে। ডাল বা তরকারির সাথে এই রুটি খেতে বেশ সুস্বাদু।
২. তিসি:
ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডে ভরপুর তিসি আটার সাথে মিশিয়ে রুটি তৈরি করলে পাওয়া যায় দারুণ উপকারিতা। রুটির পুষ্টির মান বাড়াতে প্রতি কাপ আটার সাথে এক টেবিল চামচ আস্ত অথবা সামান্য ভাঙা তিসি যোগ করুন। ‘জার্নাল অফ ফুড সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি’-র একটি গবেষণা অনুযায়ী, তিসিতে আলফা-লিনোলিক অ্যাসিড (ALA) নামক একটি অত্যাবশ্যকীয় ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে, যা আমাদের শরীর তৈরি করতে পারে না। ALA প্রদাহ কমাতে এবং হৃদপিণ্ডে কোলেস্টেরল জমা হওয়া প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। এছাড়াও, তিসিতে থাকা উচ্চমাত্রার ফাইবার পেট ভরা রাখতে সাহায্য করে, যা ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক।
৩. মেথি দানা:
মেথি দানা ভিটামিন এ, সি এবং কে, পটাসিয়াম, ক্যালসিয়াম এবং আয়রনের মতো প্রয়োজনীয় খনিজ পদার্থে সমৃদ্ধ। আপনার আটার সাথে এক টেবিল চামচ মেথি দানা মিশিয়ে নিন। এর ফলে রুটির স্বাদ সামান্য তেতো হতে পারে, তবে এই মসলা শরীরের জন্য অনেক উপকার বয়ে আনবে। মেথি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে, ইনসুলিন উৎপাদন বাড়াতে এবং হজমের উন্নতি ঘটাতে সহায়তা করে। তাই, আপনার প্রতিদিনের রুটিকে আরও পুষ্টিকর করে তুলতে এই উপাদানটি যোগ করার কথা বিবেচনা করতে পারেন।
এই সহজ উপায়গুলো অবলম্বন করে আপনি আপনার প্রতিদিনের রুটিকে আরও স্বাস্থ্যকর এবং পুষ্টিকর করে তুলতে পারেন। তাই, এবার যখন রুটি তৈরি করবেন, তখন এই উপাদানগুলোর কথা অবশ্যই মনে রাখবেন!