বাড়ন্ত বয়সের শিশুর জন্য প্রয়োজন পুষ্টিকর নানা ধরনের খাবার। এ লেখায় দেওয়া হলো তেমন কয়েকটি খাবারের তালিকা।
১. পালং শাক: শিশুর জন্য পালং শাক খুবই উপযোগী। পুষ্টিকর এই খাবারে উদ্ভিজ্জ ওমেগা-৩এস এবং ফোলেট রয়েছে। এই পুষ্টি উপাদানটি হৃদরোগ, স্ট্রোক ও অস্টেওপরোসিস এর ঝুঁকি কমায়। এর নানা উপাদান শিশুর বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখে। তাই প্রতিদিনই শিশুর এক থেকে আধা কাপ পালং শাক খাওয়া উচিত।
২. মিষ্টি আলু: মিষ্টি আলুতে নানা ধরনের ভিটামিন ও মিনারেল রয়েছে। আর তাই প্রতিদিন একটি মাত্র মিষ্টি আলু খেলে আপনার শিশুর প্রতিদিনের ভিটামিন চাহিদার বেশ খানিকটা পূরণ হয়ে যাবে। এই মিষ্টি স্বাদের সবজির মূলে রয়েছে উচ্চমানের পটাশিয়াম এবং আঁশ। রক্তবর্ণের মিষ্টি আলুতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ রয়েছে
৩. মাছ: ভিটামিন ডি এবং ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিডসহ প্রচুর পরিমাণ ম্যাগনেশিয়াম পাবেন নানা ধরনের মাছে। শিশুকে প্রতিদিনই একটু করে মাছ খাওয়ান। এটি শিশুর বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় বহু পুষ্টি উপাদান যোগাবে। এটি অ্যাজমা প্রতিরোধ করবে এবং মস্তিষ্ক বৃদ্ধির মাধ্যমে তাকে মানসিকভাবে সবল হয়ে উঠতে সহায়তা করবে।
৪. দই: হাজার বছরের পুরনো এই খাবারে রয়েছে প্রোবায়োটিক উপাদান। এতে উপকারী ব্যাকটেরিয়া থাকায় দই বিপাক ক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে এবং ক্যান্সার প্রতিরোধে ভূমিকা রাখে। দই বাড়ন্ত শিশুদের নানা পুষ্টির চাহিদা মেটায়। এটি শিশুদের শক্তিশালী হাড় ও দাঁত গঠনে সহায়ক।
৫. বাদামি আটার খাবার: পরিশোধিত আটা বা ময়দার খাবার নয় বরং খোসাযুক্ত খাবারই শিশুদের দেওয়া উচিত। এ ধরনের খাবারে প্রোটিন, ফাইবার, ভিটামিন বি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। এছাড়া মিনারেল, আয়রন, জিংক, কপারও ম্যাগনেসিয়াম পাওয়া যাবে এ ধরনের খাবারে।
৬. ডিমঃ ডিম শিশুর দেহের ও মস্তিষ্কের উন্নতি ঘটায়। এতে রয়েছে মস্তিষ্কের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান, যার নাম কোলিন। এছাড়া একটি ডিমে রয়েছে দৈনিক চাহিদা পূরণের উপযোগী ১৫ শতাংশ ভিটামিন বি। এটি দৈনিক খেলে দেহের ভিটামিন বি-র চাহিদা মেটাতে ভূমিকা রাখে। এটি শিশুদের উদ্যম যোগায়। এছাড়া ডিমে রয়েছে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির নানা উপাদান। ডিমের আরডিএ বা সেলেনিয়াম শিশুদের পুষ্টি চাহিদা মেটাতেও বিশেষভাবে কার্যকর, যা তাদের বিভিন্ন রোগের বিরুদ্ধে প্রতিরোধক্ষমতা অর্জনে সহায়তা করে