ঘরে বসে রিমঝিম বৃষ্টি দেখতে ভালো লাগে না? বলুন? কিন্তু বাইরে বেরোতে হলেই রাজ্যের ডিপ্রেশন এসে চেপে ধরে। এ দেশের গরমে সারাক্ষণ তো আর গামবুট পরে থাকা সম্ভব নয়, কিন্তু রাস্তায় পা দিলেই চ্যাপচেপে কাদা চেপে ধরবে, নখের কোণে কোণে তা আটকে থাকবে বিচ্ছিরিভাবে — সেটা ভেবেই আরও খারাপ লাগে। তা ছাড়া বর্ষার অতিরিক্ত আর্দ্রতা আর জলকাদায় পায়ে নানা ধরনের র্যাশ আর ইনফেকশনও হয়। সে সবের হাত থেকে মুক্তি পেতে চাইলে ঘরোয়া সমাধানের উপর আপনাকে আস্থা রাখতেই হবে।
বর্ষাই হোক বা শীত অথবা গ্রীষ্ম, পা যেন শুকনো থাকে, সেদিকে নজর রাখবেন। রাস্তায় যদি পা ভিজে যায় বা অতিরিক্ত জল-কাদায় ময়লা হয়ে যায় তা হলে অফিসে ঢুকে পা ধুয়ে নিন। তার পর টিস্যু দিয়ে শুকনো করে মুছে নিতে হবে। কোনও পরিস্থিতিতেই ভেজা মোজা বা জুতো পরে থাকবেন না। দরকারে এই সময়ে পিভিসি মেটিরিয়ালের জুতো পরুন বা অফিসে বাড়তি এক জোড়া স্লিপার রাখার ব্যবস্থা করুন। বাড়িতে ফিরে আর একদফা পরিষ্কার করুন। সপ্তাহে একবার অন্তত ফুট বাথ নিন। উষ্ণ গরম জলে পা ডুবিয়ে রাখুন, সেই জলে সামান্য লেবুর রস আর শ্যাম্পুও মিশিয়ে নিন। এতে পায়ের দুর্গন্ধ দূর হবে। তার পর পামিস স্টোন দিয়ে ভালো করে ঘষে নিন, লাগাতে পারেন মধু, বেসন, সর, ময়দা দিয়ে তৈরি ফুট স্ক্রাবও। মাসাজ করে মৃত কোষ তুলে দিন, তার পর পা ধুয়ে-মুছে ভালো কোনও ময়েশ্চরাইজ়ার লাগিয়ে নেবেন। বর্ষাকালেও কিন্তু ময়েশ্চরাইজ়ার একান্ত প্রয়োজনীয়।
অন্তত বর্ষাকালে পায়ের নখ যথাসম্ভব ছোট রাখুন। তা না হলে নখের ফাঁকে বাড়তি ময়লা ঢুকে দেখতে বিচ্ছিরি লাগবে, কোনও ইনফেকশন হওয়াও বিচিত্র নয় একেবারেই। সম্ভব হলে এই সময়ে পা ঢাকা জুতো পরুন। স্লিপ অন পরলে কিন্তু পায়ের সঙ্গে সঙ্গে আপনার পোশাকেও কাদার ছিটে লাগবে এবং তা মোটেও ভালো দেখাবে না। পা ঢাকা বেল্ট দেওয়া জুতো পরতে পারলে খুব ভালো হয়, তাতে নিচু হিল থাকলে রাস্তায় জমা অল্প-স্বল্প জলের হাত থেকে মুক্তি পাবেন। জুতোর গ্রিপ যেন ভালো হয় সেটা দেখবেন। হাই হিল পরে বর্ষাকালে হাঁটাচলা করা কিন্তু বিপজ্জনক হতে পারে।