ডায়াবিটিসের কারণে শরীরে কোনো জোর নেয়, মেনে চলুন এই নিয়ম

কিছু অসুখ স্বাভাবিক ও সাধারণ। কিছু আবার একরোখা। একবার দেখা দিলে জীবনটাকে আমূল বদলে দেয়। পরিবর্তন আনতে হয় চেনাজানা অনেক অভ্যাসে। তেমনই একটি অসুখ হলো ডায়াবেটিস। এটি আবার আরও অনেক অসুখের কারণ হতে পারে যদি ঠিক সময়ে নিয়ন্ত্রণ করা না যায়।

আমাদের দেশে ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা কম নয়। দিনদিন এই সংখ্যা আরও বেড়েই চলেছে। এখন অল্প বয়সেও অনেকের ডায়াবেটিস দেখা দিচ্ছে। ডায়াবেটিস দেখা দিলে কিছু বিধি-নিষেধের মধ্যে থাকতে হয়। তাদের প্রতিদিনের রুটিনে আনতে হয় নানা পরিবর্তন। খাওয়া থেকে ঘুম, সবকিছুতেই থাকতে হয় সতর্ক।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ১৯৯১ সালে ১৪ নভেম্বর দিনটিকে ওয়ার্ল্ড ডায়াবিটিস ডে হিসেবে ঘোষণা করে। বিশেষজ্ঞরা ডায়াবিটিসকে বর্তমানে সবচেয়ে ভয়ংকর লাইফস্টাইল ডিসঅর্ডার হিসাবে চিহ্নিত করেছেন। কারণ এটি কিডনি, চোখ, হার্ট, নার্ভ ইত্যাদি বহু অসুখকে বয়ে আনে। তাই ডায়াবেটিস রোধে নিজে সতর্ক থাকার পাশাপাশি পরিচিতজনদেরও সতর্ক করুন। নিয়ম মেনে চলতে পারলে ডায়াবেটিসকে বশে রাখা অসম্ভব নয়।

যাদের এই অসুখ নেই, তারা সতর্ক থাকবেন। আর যাদের ইতিমধ্যেই দেখা দিয়েছে, তাদেরকে জীবনযাপনে পরিবর্তন আনতে হবে। চলুন জেনে নেয়া যাক কী সেই পরিবর্তন-

ডায়াবেটিস মানেই মিষ্টি বাদ, এমনটা মনে করেন অনেকে। তবে ডায়াবেটিস রোগীরাও খেতে পারবেন মিষ্টি। তাদের মিষ্টির মধ্যে সবচেয়ে ভালো হলো রসগোল্লা। কিন্তু তার রস ঝরিয়ে তবেই খেতে হবে। এছাড়াও সুগার ফ্রি মিষ্টিও খেতে পারেন মাঝেমধ্যে।

পায়েসের ক্ষেত্রে রান্না করুন স্টিভিয়া, সুক্রালোজ বা জাইলিটল দিয়ে, এছাড়াও পায়েসে চাল, সেমাই বা সুজির পরিবর্তে ব্যবহার করতে পারেন নিউট্রিলা পেস্ট, যা পায়েসের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স ও গ্লাইসেমিক লোড দুটোই কমাবে।

মিষ্টি সবসময় কোনো প্রোটিন বা ফাইবার জাতীয় খাবার খাওয়ার পরেই খান, এতে সুগার হঠাৎ করে বেড়ে যাবে না। যেদিন মিষ্টি খাবেন সেদিন অন্যান্য কার্বোহাইড্রেট অবশ্যই কম খান, ভাতের পরিমাণ কমিয়ে দিন, সবজি ও সালাদ খান বেশি করে। টক দই রাখুন প্রতিদিনের ডায়েটে।

প্রতিদিনের খাবারে রাখবেন তাজা সব ফল। চেষ্টা করুন প্রতিদিন শরীরচর্চা করতে। অলসতা যেন ভর না করে সেদিকে খেয়াল রাখবেন।

প্রত্যেক ডায়াবিটিস পেশেন্ট সকালবেলা খালি পেটে মেথি গুঁড়ো ভেজানো জল খান, সুগার নিয়ন্ত্রণে কিন্তু মেথির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে, এছাড়াও ব্লাড প্রেসার ও কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণেও কিন্তু মেথি সিদ্ধহস্ত

আমন্ড বাদাম সারারাত ভিজিয়ে সকালে খালি পেটে খেতে পারেন। তবে সকালে উঠেই চা-বিস্কুট নিয়ে বসবেন না। কারণ বিস্কুট হলো এমন একটি খাদ্য যার থেকে প্রোটিন ভিটামিন বা অন্য কোনো পুষ্টিগুণ আমরা পাইনা শুধু কার্বোহাইড্রেট ও ক্যালোরি ছাড়া। বিস্কুট খেলেও ভরা পেটে খান।

চকোলেট খেতে ইচ্ছে করলে ডার্ক চকলেট খান। ব্লাড সুগার, ব্লাডপ্রেসার, এলডিএল কমানোর ক্ষেত্রে ডার্ক চকলেট কিন্তু বেশ ভালো।RS

ডায়াবেটিস হলে সারাক্ষণই কিছু না কিছু খেতে ইচ্ছে করতে পারে। এক্ষেত্রে মুখে রাখতে পারেন জাইলিটল যুক্ত চুইংগাম, খাবার প্রবণতা কমবে, সাথে মুখের মাসলগুলোর ব্যায়ামও হবে।

Related Posts

© 2025 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy