চিজ খেতে পছন্দ করেন? উপকারিতা জানুন একঝলকেই

চিজ় খেতে ভালো অনেকেই বাসেন, কিন্তু সে সম্পর্কে বিশদ তথ্য ক’জনেরই বা জানা আছে? অনেকেরই ধারণা আছে যে চিজ় খেলেই বাড়ে ফ্যাট আর হার্টের অসুখের আশঙ্কা। হ্যাঁ, এ কথা ঠিক যে যদি আপনার চিজ়ে প্রচুর পরিমাণে নুন বা সোডিয়াম থাকে, তা হলে সেটা অবশ্যই স্বাস্থ্যের পক্ষে হানিকারক হতে পারে। কিন্তু ভালো মানের দুধ থেকে তৈরি প্রাকৃতিক চিজ় শরীরের পক্ষে ভালোই। যদি ফুল ফ্যাট দুধ থেকে চিজ় তৈরি হয়, তা হলে তার মধ্যে ফ্যাটের পরিমাণ বেশি থাকবে। লো-ফ্যাট দুধের চিজ়ে সে সমস্যা থাকে না। তবে, এ দেশের খুচরো বাজারে সহজেই যে প্রসেসড চিজ় পাওয়া যায় এবং মাসের পর মাস খাওয়া চলে নিশ্চিন্তে, সেগুলি পুষ্টিগুণের দিক থেকে খুব একটা সরেস হয় না। এর মধ্যে বাড়তি স্বাদের জন্য ফ্লেভার এনহান্সার এবং কৃত্রিম রংও যোগ করা হয় সাধারণত। সুবিধে হচ্ছে, আজকাল সুপারমার্কেটে বিভিন্ন চিজ় কিনতে পাওয়া যায়, বিদেশ থেকে আসা ‘এজেড’ চিজ়ও তার মধ্যে পড়ে। তা ছাড়া এ দেশেও তৈরি হয় নানা ধরনের ‘ফ্রেশ’ চিজ়।

অজস্র রকমের চিজ় আছে। তার কিছু ‘ফ্রেশ’ বা তাজা খেতে হয়; কিছু ক্ষেত্রে আবার ‘এজিং’-এর পরই চিজ়ের নিজস্ব স্বাদ-গন্ধ ফুটে বেরোয়। আমাদের ছানা বা কটেজ চিজ়, রিকোটা, মাসকারপোনে, ক্রিম চিজ় হচ্ছে তাজা চিজ়ের উদাহরণ। এগুলি নরম, জলীয় ভাব বেশি থাকে বলে বেশিদিন রাখা যায় না এবং খুব ভালো ডেজ়ার্ট তৈরি করা যায় প্রতিটি দিয়েই। অন্তত ছ’মাস বা তার চেয়ে বেশিদিন পুরোনো চিজ় স্বাভাবিকভাবেই স্বাদ ও গন্ধের দিক থেকেও অনেক পরিণত হয়ে ওঠে। চেডার, পারমেসান, গ্রুয়ের বা সুইস চিজ় পড়ে এই গোত্রে।

চিজ়ের পুষ্টিগুণ: চিজ় থেকে ক্যালসিয়াম, ফ্যাট আর প্রোটিন পাওয়া যায়। ক্যালসিয়াম ভালো রাখে আপনার হাড়ের স্বাস্থ্য, ভালো থাকে দাঁতও। খুব ভালো মানের চিজ় হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখতেও কার্যকর। তবে যাঁদের দুধে বা প্রোটিনে অ্যালার্জি আছে, তাঁরা চিজ় থেকে দূরে থাকলেই ভালো করবেন। অার এ কথাও ঠিক যে চিজ়ে বাড়তি সোডিয়াম থাকে। তাই যাঁদের রক্তচাপ খুব বেশি, তাঁরা অতিরিক্ত মাত্রায় চিজ় খাবেন না।

Related Posts

© 2025 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy