খিদে পেলে হাতের কাছে যা পাওয়া যায়, তাই দিয়েই তাড়াহুড়ো করে পেট ভরানো আমাদের অনেকেরই অভ্যাস। আবার পছন্দের খাবার দেখলে ভালো-মন্দ বিচার না করেই ঝাঁপিয়ে পড়ি। তবে জানেন কি, এমন কিছু খাবার রয়েছে যা একসঙ্গে খেলে শরীরের মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে? তাই সুস্থ থাকতে খাবারের মেনু তৈরির সময় অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে, ক্ষতিকর খাবারগুলো যেন একই পাতে না পড়ে। আসুন, জেনে নেওয়া যাক সেই খাবারগুলো সম্পর্কে:
দই ও ফল: ওজন কমানোর চেষ্টায় অনেকেই দইয়ের সঙ্গে আপেল, আঙুর, খেজুর বা অন্যান্য শুকনো ফল মিশিয়ে খান। তবে এই অভ্যাস শরীরের জন্য একেবারেই ভালো নয়। পুষ্টিবিদদের মতে, দই ও ফল একসঙ্গে খেলে অ্যাসিডিটি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এছাড়াও, এই মিশ্রণ প্রয়োজনীয় ফাইবার ভেঙে দেয় এবং কোল্ড অ্যালার্জির ঝুঁকিও বাড়াতে পারে।
কর্নফ্লেক্স ও জুস: সকালের জলখাবারে দুধ-কর্নফ্লেক্সের সঙ্গে অনেকেই এক গ্লাস কমলালেবুর রস পান করেন। তবে এই কম্বিনেশন হজমের জন্য ক্ষতিকর। কর্নফ্লেক্স ও জুস একসঙ্গে খেলে তা এনজাইম ভেঙে দেয়, যার ফলে শরীরে অ্যাসিড তৈরি হয়। শুধু তাই নয়, এটি প্রয়োজনীয় কার্বোহাইড্রেটকেও নষ্ট করে দেয়।
বার্গার ও ফ্রাই: বার্গারের সঙ্গে ফ্রেঞ্চ ফ্রাইয়ের যুগলবন্দী যেন ভোজনরসিকদের কাছে এক দারুণ আকর্ষণ। ফাস্ট ফুডের দোকানেও এই কম্বো বেশ জনপ্রিয়। তবে এই দুটি খাবার একসঙ্গে খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য একেবারেই ভালো নয়। বার্গার ও ফ্রাই একসঙ্গে খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা দ্রুত বৃদ্ধি পায়, যার ফলে খাবার খাওয়ার পরপরই ক্লান্তি অনুভব হয়।
পিজ্জা ও সোডা: পিজ্জার সঙ্গে ঠান্ডা পানীয় বা কোলা ছাড়া অনেকেরই চলে না। তবে এই দুটি খাবার একসঙ্গে পাকস্থলী সহজে গ্রহণ করতে পারে না। এর ফলে হজমের সমস্যা দেখা দেয় এবং শরীরে এনার্জির অভাব অনুভূত হয়। তাই পিজ্জার সঙ্গে সোডা এড়িয়ে যাওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ।
ডিম ও বেকন: ব্রেকফাস্টের প্লেটে ডিম এবং বেকন একসঙ্গে খাওয়া অনেকেরই পছন্দের। তবে পুষ্টিবিদরা বলছেন, এই দুটি খাবার একসঙ্গে খাওয়া উচিত নয়। কারণ ডিম ও বেকন দুটোই শক্তির উৎস। এই দুটি খাবার থেকে শরীরে যে শক্তি উৎপন্ন হয়, তা খুব দ্রুত শেষ হয়ে যায়। ফলে দিনের শুরুতেই ক্লান্তি ও অলসতা গ্রাস করতে পারে।
তাই সুস্থ থাকতে এবং হজমের সমস্যা এড়াতে এই খাবারগুলো একসঙ্গে খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। সঠিক খাদ্যাভ্যাসই আপনাকে দীর্ঘ ও নীরোগ জীবন দিতে পারে।