পেঁয়াজ ছাড়া রান্না যেনো ভাবাই যায় না। প্রায় সব রান্নায় পেঁয়াজ ব্যবহার করে থাকি আমরা। কিন্তু পেঁয়াজের খোসা? তার বিশেষ ব্যবহার কেউই করি না। বেশীরভাগ সময় ফেলে দেওয়া হয় এই খোসা।
কিন্তু পুষ্টিবিদেরা বলছেন, পেঁয়াজের খোসার মধ্যে রয়েছে নানা ধরনের গুনাগুণ। চলুন জেনে নেই কেন পেঁয়াজের খোসা ফেলে না দিয়ে যত্ন করে তুলে রাখবেন,
১. ত্বকের যত্নে
স্পর্শকাতর ত্বকে খুব সহজেই র্যাশ, ব্রণ হয়। রোদ লাগলে মুখ লাল হয়ে, জ্বালা করতে থাকে। এই ধরনের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পেঁয়াজের খোসার নির্যাস বা খোসা ভেজানো জল ব্যবহার করা যেতে পারে। এ ছাড়া পেঁয়াজের খোসা ত্বকের নতুন কোষ গঠনে সহায়তা করে। নিয়মিত পেঁয়াজের খোসা মেশানো চা খেলে ত্বকের শুষ্কতা দূর হয়।
২. চুলের যত্নে
অতিরিক্ত চুল পড়লে ঘরোয়া সমাধান হিসেবে পেঁয়াজের রস ব্যবহার করেন অনেকেই। পেঁয়াজ এবং খোসা দুটিতেই প্রচুর সালফার রয়েছে। পেঁয়াজের খোসা সেদ্ধ জল চুলের যত্নে ব্যবহার করলে খুশকির সমস্যা কমে যায়। চুলের বৃদ্ধিতেও পেঁয়াজের খোসা কার্যকর।রাসায়নিক মুক্ত ‘ডাই’ তৈরি করতেও অনেকে পেঁয়াজের খোসা গুঁড়ো ব্যবহার করেন।
৩. মেদ ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে
পেঁয়াজের খোসা দিয়ে তৈরি চা ত্বক ও স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। এটি মেদ, স্থূলতা, উচ্চ রক্তচাপ এবং সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও সাহায্য করে। ১০ থেকে ২০ মিনিটের জন্য পেঁয়াজের খোসাসহ জল সিদ্ধ করতে হবে। এর পরে ছেঁকে খোসা সরিয়ে নিন। পেঁয়াজ চা প্রস্তুত।
৪. পেশীর সমস্যা দূর করতে
পায়ে ব্যথার সমস্যা বা পায়ের পেশীতে টান লাগার সমস্যায়ও উপকার পাবেন পেঁয়াজের খোসায়। পেঁয়াজের খোসা সেদ্ধ জল পানে আরাম পাবেন, সাথে মিশিয়ে নিতে পারেন মধু।
৫. পেটের সমস্যা
গ্যাস, গলা-বুক জ্বালার ভয়ে পেঁয়াজ খেতেই পারেন না। পুষ্টিবিদেরা বলছেন, সে ক্ষেত্রে খাবারে পেঁয়াজের বদলে ব্যবহার করা যেতে পারে পেঁয়াজের খোসা গুঁড়ো বা খোসা ভেজানো জল । সহজপাচ্য পেঁয়াজের খোসা রান্নায় পেঁয়াজের মতোই স্বাদ আনে। পাশাপাশি গ্যাস, ঢেকুরের মতো সমস্যাও নিয়ন্ত্রণে রাখবে।
৬. গাছের সার
ঘরের বা বাইরের গাছের জন্য পটাসিয়াম সমৃদ্ধ সার তৈরি করতে পেঁয়াজের খোসা কাজে লাগতে পারে। এই খোসা ফেলে দেওয়ার পরিবর্তে গাছের গোড়ায় ব্যবহার করুন। গাছের বৃদ্ধি হবে, ডালপালা শক্তিশালী হবে, ফল উৎপাদনের পরিমাণ বাড়বে।