আমাদের সমাজে নানা ধরনের মানুষের বসবাস। জীবনের পথে চলতে গিয়ে আমরা বিভিন্ন সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ি। সুস্থ সম্পর্ক জীবনকে সুখী ও শান্তিপূর্ণ করে তোলে। তবে কিছু মানুষের সঙ্গ কেবলই তিক্ততা আর অশান্তি বয়ে আনে। তাই মানসিক শান্তি বজায় রাখতে এই ধরনের মানুষদের থেকে দূরত্ব বজায় রাখাই বুদ্ধিমানের কাজ। নিচে এমন ৭ ধরনের মানুষের কথা বলা হলো, যাদের এড়িয়ে চলা উচিত:
১. বিদ্বেষপূর্ণ মনোভাব পোষণকারী: কিছু মানুষ আছেন যারা সকলের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করেন। সুযোগ পেলেই অন্যের সমালোচনা করেন এবং পৃথিবীর সবকিছু নিয়েই তাদের অভিযোগের শেষ নেই। এদের কাছ থেকে ইতিবাচক কিছু আশা করা বৃথা। তাই এদের সঙ্গ এড়িয়ে যাওয়াই শ্রেয়।
২. ঋণগ্রস্ততার প্রবণতা যাদের: কিছু মানুষ অন্যের উপর অতিমাত্রায় নির্ভরশীল হন। নির্লজ্জের মতো কথায় কথায় অন্যের কাছে সাহায্য চান এবং শেষ পর্যন্ত সেই ঋণ পরিশোধ করার কথা বেমালুম ভুলে যান। এই ধরনের মানুষের কাছ থেকে প্রতারণা ছাড়া আর কিছুই পাওয়ার আশা নেই। তাই এদের থেকে দূরে থাকুন।
৩. শুধু ভুল অনুসন্ধানী: এমন মানুষও সমাজে বিরল নয় যারা নিজেদের ভুল না দেখে কেবল অন্যের খুঁত ধরতেই ব্যস্ত থাকেন। এই ধরনের মানুষের সঙ্গে থাকলে কেবল হতাশাই সঙ্গী হবে।
৪. সুসময়ের বন্ধু: কিছু মানুষ কেবল নিজেদের প্রয়োজনে আপনার পাশে থাকবে, কিন্তু আপনার বিপদে বা কঠিন সময়ে তাদের আর খুঁজে পাওয়া যাবে না। প্রয়োজনে ডাকলে এরা এড়িয়ে যাবে। এদের থেকে সাবধান থাকুন।
৫. পরনিন্দাকারী: কিছু মানুষ মুখে মধু এবং অন্তরে বিষ ধারণ করে। এরা আপনার সামনে হাসিমুখে কথা বললেও আপনার অনুপস্থিতিতে আপনার সম্পর্কে নানা নেতিবাচক কথা রটায়। এই ধরনের মানুষ আপনার জীবনে থাকলে এখনই সাবধান হওয়া উচিত, কারণ এরা আপনার সুনাম ধূলিসাৎ করে দিতে পারে।
৬. অন্যের কথা শুনতে অনিচ্ছুক: কিছু মানুষ আছেন যারা অনর্গল কথা বলতে ভালোবাসেন, কিন্তু অন্যের কথা শোনার ধৈর্য্য বা আগ্রহ তাদের থাকে না। এই প্রকৃতির মানুষ কখনোই আপনাকে বোঝার চেষ্টা করবে না। তাই এদের সঙ্গ এড়িয়ে চলুন।
৭. তুলনাকারী: যে মানুষ তার প্রাক্তন সঙ্গীর সঙ্গে প্রতিনিয়ত আপনার তুলনা করে, এমন মানুষের সঙ্গে কখনোই সুখী হওয়া সম্ভব নয়। এই ধরনের মানুষ আপনার শান্তি ও আত্মসম্মান কেড়ে নেবে।
পরিশেষে বলা যায়, সুস্থ ও সুন্দর জীবন যাপনের জন্য সঠিক মানুষের সঙ্গ যেমন জরুরি, তেমনই ক্ষতিকর মানুষদের থেকে দূরত্ব বজায় রাখাও বুদ্ধিমানের কাজ। তাই উপরোক্ত বৈশিষ্ট্যগুলি দেখে চলার চেষ্টা করুন এবং মানসিক শান্তি বজায় রাখুন।